এবিএনএ: যৌনতা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি অস্বীকার করে ব্যতিক্রম পথে কেউ এগোতে পারে না। কিন্তু মিলিত না হয়েও ঘুমের ধরন দেখে বোঝা যায় কোন ব্যক্তির যৌন আকাঙ্খা কেমন। কারণ ঘুমের সময় মানুষ মুখোশের সম্পূর্ণ বাইরে থাকে।নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। চলুন জেনে নিই সেগুলো সম্পর্কে-
শোয়ার এই ধরন যেমন মিষ্টি, তেমনই রোম্যান্টিক। এ থেকে বোঝা যায় একজন অন্যজনের কতটা যত্ন নেয়। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই পজিশনে তারাই শোয় যৌনতা যাদের প্যাশন। এছাড়া দু’জনের মধ্যে বিশ্বাস থাকলেও এই পজিশন নিজে থেকেই চলে আসে।
পিছন ফিরে শোয়া
সঙ্গীর দিকে পিছন ফিরে অনেকেই শোয়। অনেক সময় দু’জনের মধ্যে শারীরিক কোনো যোগাযোগ থাকে না। বিশেষজ্ঞদের মতে এটি সম্পর্কের নিরাপত্তা বোঝায়। এ থেকে বোঝা যায় দু’জন দু’জনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সম্পর্ক নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো নিরাপত্তাহীনতা নেই।
শরীরী স্পর্শ রেখে পিছন ফিরে শোয়া
কেউ সঙ্গীর দিকে পিছন ফিরে শুয়ে আছে, অথচ দুই শরীরের মধ্যে স্পর্শ আছে। এমন ঘটনা সচরাচর নতুন দম্পতির ক্ষেত্রে দেখা যায়। যারা বহুদিন ধরে সম্পর্কে রয়েছে বা বিয়ের অনেকদিন হয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে এসব দেখা যায় না।
বিছানা জুড়ে শোয়া
কারোর আবার ঘুমোনোর জন্য প্রচুর জায়গা দরকার হয়। এরা সম্পূর্ণ বিছানাজুড়ে শুয়ে থাকে। আর সঙ্গী থাকে একপাশে। এসব তখনই হয় যখন সম্পর্ক কোনো সমস্যার মধ্যে দিয়ে যায়। একজন এক্ষেত্রে নিজের ক্ষমতা জাহির করতে চায়। চরিত্রগত দিক থেকে তারা হয় স্বার্থপর। আর এর ফল ভোগ করে অন্যজন।
জড়িয়ে শোওয়া
দম্পতি বা প্রেমিক-প্রেমিকার একে অপরকে জড়িয়ে শোয়া এমন কিছু নতুন নয়। এই সময় একজনের পায়ের মাঝে থাকে আরেকজনের পা। বাহুবন্ধনও থাকে অন্যজনকে ঘিরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন পজিশনের মানে দু’জন দু’জনের ওপর যথেষ্ট নির্ভরশীল। তারা একে অপরের সান্নিধ্য পায় খুব কম। তাই যেটুকু পায়, সম্পূর্ণটা নিয়ে নিতে চায়।
বুকে মাথা রেখে শোওয়া
সঙ্গীর বুকে মাথা রেখে শোয়ার মধ্যে রোমান্টিকতা আছে ভরপুর। কিন্তু এই ধরন এটাও বলে, দু’জন দু’জনের প্রতি যত্নশীল। এটি প্রতিশ্রুতির বহিঃপ্রকাশ। সাধারণত নতুন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি দেখা যায়। কিন্তু তাই বলে পুরনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে এসব হয় না, তা একেবারেই নয়।
Share this content: