এবিএনএ : দীর্ঘ দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছিল মার্কিন রাজনৈতিক অঙ্গনে। সেই আলোচনা-সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের স্বামী জ্যারেড কুশনারকে শীর্ষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিলেন নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর আগে ইভাঙ্কা জানিয়েছিলেন, হোয়াইট হাউজে কোন পদ নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী নন তিনি। ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের নিকটে ফ্লাট ক্রয় প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, বাবার কাছাকাছি থেকে নিজের আগ্রহের বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে চান। এ সময় হোয়াইট হাউজে স্বামীর কাজের বিষয়ে কোন কথা বলেননি তিনি। কিন্তু এনবিসি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বাচনী প্রচারণায় মেয়ে জামাই কুশনার ছিলেন ট্রাম্পের অন্যতম উপদেষ্টা। তাই হোয়াইট হাউজেও ভাল কোন পদ পেতে যাচ্ছেন জ্যারেড কুশনার।
কুশনারের পাওয়া নতুন দায়িত্ব অনুসারে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের পাশাপাশি বৈদেশিক নীতি নিয়েও কাজ করবেন তিনি। ৩৫ বছর বয়সী কুশনার মূলত একজন প্রোপার্টি ডেভেলপার ব্যবসায়ী। বিবিসি জানায়, তার মূল আগ্রহ সব সময় ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই ছিল। আর সে কারণেই ডেমোক্রেটরা কুশনারের নিয়োগের বিষয়টি পুনঃনিরীক্ষার জন্য বলে। এ ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি বিষয়ক আইন ও (আগ্রহের) সম্ভাব্য দ্বন্দ্বকে সামনে রেখে এই পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা হয়।
হাউজ জুডিশিয়ারি কিমিটির সদস্য এই বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিচারবিভাগ ও সরকারের নীতি বিষয়ক অফিসে প্রেরণ করেছে।
এর আগে ট্রাম্প তার মেয়ে জামাইয়ের প্রশংসা করে জানান, ‘সে অসাধারণ এক সম্পদ’ এবং নিজ সরকারের কাঠামোতে তাকে (কুশনারকে) গুরুত্বপূর্ণ ‘নেতৃত্বশীল’ দায়িত্ব দিতে পেরে গর্বিত।