এ বি এন এ : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর আপীল খারিজ হয়ে ‘মৃত্যুদণ্ড’ বহাল থাকায় বাংলাদেশের জনগণ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, আজ আমাদের সকলের জন্য একটি স্বস্তির দিন এবং ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ভালভাবে ভোগ করার দিন। অন্যান্য রায়ের মত এ রায়ও শিগগিরই কার্যকর করা হবে বলে তিনি জানান। আইনমন্ত্রী আজ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। জনগণের কাছে দেয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার পূরণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি এ অঙ্গীকার পূরণে বর্তমান সরকারের ওপর আস্থা রাখায় তিনি দেশের জনগণকেও ধন্যবাদ জানান। চিফ প্রসিকিউটর এবং যে প্রসিকিউটররা মীর কাসেম আলীর মামলা পরিচালনায় অংশ নিয়েছেন তাদের ওই দায়িত্বে থাকা উচিত নয় বলে আপীল বিভাগ যে অভিমত দিয়েছে সে ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় কি ব্যবস্থা নেবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর খুনী রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে অনুরোধ করেছেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় আমিও রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে জানান, দেশে ফিরে গিয়ে তিনি এই ব্যাপারটি দেখবেন। আইনমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পালিয়ে থাকা মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আলাপ আলোচনার ব্যাপারে ইতোপূর্বে কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকলেও বর্তমানে সেসব প্রতিবন্ধকতা দূর হয়েছে। সরকার তাদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে শিগগিরই আলোচনা শুরু করবে বলেও তিনি জানান। আনিসুল হক জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে অত্যন্ত গভীর সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গতকালের সফরের মধ্যদিয়ে এটা প্রমাণিত হয় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। মন্ত্রী জানান, যুদ্ধাপরাধীদের ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে আলোচনা করতে তারা রাজি হয়েছেন।