এ বি এন এ : বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস আজ বৃহস্পতিবার। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘অ্যাক্রেডিটেশন: সরকারি নীতি নির্ধারণে সহায়তা করে’। দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে ইন্টারন্যাশনাল ল্যাবরেটরি অ্যাক্রেডিটেশন কো-অপারেশন (আইএলএসি) ও ইন্টারন্যাশনাল অ্যাক্রেডিটেশন ফোরাম (আইএএফ) একটি যুক্ত বিবৃতিও প্রদান করেছে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) যৌথ উদ্যোগে ঢাকার মতিঝিলস্থ ডিসিসিআই মিলনায়তনে এক সেমিনার আয়োজন করে। বিভিন্ ল্যাবরেটরির সাথে জড়িত ব্যক্তিগণ, অ্যাক্রেডিটেশন ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তা, শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিজ্ঞ আলোচকরা আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন একটি টকশো সম্প্রচার এবং মোবাইল ফোন অপারেটররা ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ করবে। বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড এই দিবসটি উপলক্ষে প্রচার সামগ্রী, ব্যাগ, কলম, বুকলেট, বর্ণিল স্যুভেনির এবং পোস্টার প্রকাশ করেছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করেছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) দক্ষতা ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিভিন্ন পরীক্ষাগার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা ও পরিদর্শন সংস্থাকে অ্যাক্রেডিটেশন প্রদানের ফলে দেশীয় পণ্য ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর দেশি-বিদেশি ভোক্তাদের আস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন প্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও বিশ্বস্ততা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। তাঁর বিশ্বাস বিএবি জাতীয় স্বার্থে তাদের অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে আন্তর্জাতিক মান অব্যাহত রাখতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে উল্লেখ করেছেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে ‘রূপকল্প-২০২১’ ও ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এছাড়া জাতিসংঘ ঘোষিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য’ বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।