এবিএনএ : মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের শাস্তি দিচ্ছে। সেটা থেকে বাঁচতে নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের আবারও নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিষয়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ- দুই দেশের আচরণই নিষ্ঠুর। এক বিবৃতিতে এমনটা বলেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।খবর বিবিসির। সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক চম্পা প্যাটেল বলেছেন, মিয়ানমার থেকে আসা মানুষেরা, যারা নাফ নদীতে বা ভূমিতে আত্মগোপন করে আছে, তারা খাবার, পানি এবং জরুরি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গা পুরুষদের হত্যা করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এবং লুঠতরাজ চালাচ্ছে। এরইমধ্যে অন্তত দুই হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে আশেপাশের গ্রামে, শরণার্থী শিবিরে এবং বস্তিতে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, মিয়ানমারের সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন অভিযান চালাচ্ছে। গত ৯ অক্টোবর নয় জন সীমান্তরক্ষীর হত্যার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমান অধ্যুষিত মংডুতে অভিযান শুরু করে।