এবিএনএ : যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফের খুব দ্রুত বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। দেশটির ৯৮ শতাংশের বেশি বাসিন্দা এমন এলাকায় বাস করেন যেখানে করোনাভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা গণসংক্রমণের ঝুঁকির মাত্রা ‘উচ্চ’। এক মাস আগেও এই হার ছিল ১৯ শতাংশ। হঠাৎ সংক্রমণের মাত্রা এতখানি বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরন। আবার অনেক এলাকায় টিকাদানের নিম্নহারও এর কারণ।
গত ৫ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত পাঁচ সপ্তাহে কমিউনিটি সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা এলাকা কীভাবে দ্রুত বেড়ে গেছে, তা কয়েকটি মানচিত্র পাশাপাশি তুলনা করে দেখানো হয়েছে সিএনএনের প্রতিবেদনে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) দুটি সূচকের ভিত্তিতে কমিউনিটিতে সংক্রমণ পরিমাপ করছে- প্রতি এক লাখ লোকের মধ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা এবং পরীক্ষায় পজিটিভ হওয়ার হার। দুই সূচকই পরিমাপ করা হচ্ছে সাত দিনের গড়ের ভিত্তিতে।
যেখানে প্রতি এক লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১০ জনের কম সংক্রমিত হচ্ছে এবং পরীক্ষায় কভিড শনাক্তের হার ৫ শতাংশের কম, সেসব জায়গাকে সংক্রমণের কম ঝুঁকিতে থাকা এলাকা হিসেবে বিবেবচনা করা হচ্ছে। আর সেসব জায়গাকে ‘উচ্চ’ ঝুঁকির এলাকা বলা হচ্ছে, যেখানে প্রতি এক লাখের মধ্যে ১০০ জন সংক্রমিত হচ্ছে এবং কভিড পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১০ শতাংশ বা তার বেশি আসছে।
কমিউনিটি সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় থাকা কাউন্টির সংখ্যা কীভাবে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে, তা উঠে এসেছে সিডিসির সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ২ হাজার ৩৬১ কাউন্টি ছিল ‘উচ্চ’ ঝুঁকির এই তালিকায়। অথচ জুলাইয়ের শুরুতেও এ ধরনের কাউন্টির সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৫৭টি।
কমিউনিটিতে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সিডিসির পক্ষ থেকে আবারও মাস্ক পড়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হচ্ছে এবং জরুরি ভিত্তিতে দেশজুড়ে টিকাদানের গতি বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। সিডিসি এখন পরামর্শ দিচ্ছে, সংক্রমণের ‘উল্লেখযোগ্য’ বা ‘উচ্চ’ ঝুঁকির এলাকাগুলোতে চার দেয়ালের ভেতরে জনসমাগমেও মাস্ক পরতে হবে, টিকা দেওয়া থাক বা না থাক। সিডিসি বলছে, করোনার ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে লড়তে টিকাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার।
Share this content: