খেলাধুলালিড নিউজ

চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ে ফেবারিট ইংল্যান্ড

এবিএনএ : লর্ডসে অগ্নীপরীক্ষায় ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। না হয় জটিল সমীকরণের মুখোমুখি হতে হবে। এই কঠিন ম্যাচে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। এবার শুরুটা দারুণ হলেও দুই ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালে ওঠা নিয়ে নিদারুণ শঙ্কায় মরগ্যান, বাটলাররা। লর্ডসে আজ কঠিন পরীক্ষা ইংল্যান্ডের। প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। বিকাল সাড়ে ৩টায় শুরু হয় ম্যাচটি।

এই ম্যাচ জিতলে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে যাবে স্বাগতিক দল। হেরে গেলে শেষ দুই ম্যাচ জিততেই হবে। সমীকরণ এখানেই শেষ নয়। জেতার পাশাপাশি অন্য দলগুলোর দিকেও চোখ রাখতে হবে। কারণ ৬ ম্যাচ শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ জয়, ২ হারে ৮ পয়েন্ট। টেবিলে চার নম্বরে অবস্থান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিতলে ১০ পয়েন্ট হবে। সে ক্ষেত্রে দুই-তিন নম্বরে উঠে আসবে মরগ্যান বাহিনী। অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে আজ ইংল্যান্ডের মোকাবিলা করতে নামবে অ্যারন ফিঞ্চের দল।

ইতোমধ্যে ৬ ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে অজিদের। তাতে ৫ জয় এবং ১ হারে দলটির সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। টেবিলে অবস্থান দুই নম্বরে। ইংল্যান্ডকে হারালে ১২ পয়েন্ট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে (১১ পয়েন্ট) পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে আসবে। একই সঙ্গে সেমিফাইনালও প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে। হেরে গেলে আগের অবস্থানে কিংবা রানরেটে ইংল্যান্ডের পেছনে চলে যাবে। তবে সেমির স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যাবে না। শেষ দুই ম্যাচে তখন অবশ্যই জিততে হবে ওয়ার্নার, স্মিথ, ফিঞ্চদের।

অতীত বলছে বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রেকর্ড ভালো নয় ইংলিশদের। আগের ৭ দেখায় ৫ বারই হেরেছে। জয় মাত্র ২ ম্যাচে। বিশ্বকাপে গত ২৭ বছরে অজিদের বিপক্ষে জয়ের রেকর্ড নেই। ১৯৯২ বিশ্বকাপে সব শেষ জয় ইংল্যান্ডের। এর পর ২০০৩, ২০০৭ এবং সব শেষ গত বিশ্বকাপে (২০১৫) অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের তেতো স্বাদ গ্রহণ করেছে ইংল্যান্ড। আজ পুরনো ইতিহাস বদলানোর পালা মরগ্যান বাহিনীর!

শুধু বিশ্বকাপেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত নয় অস্ট্রেলিয়া, ওয়ানডে পরিসংখ্যানেও অনেক এগিয়ে। দুদল এ পর্যন্ত ১৪৭টি একদিনের ম্যাচ খেলেছে। তাতে অস্ট্রেলিয়ার ৬১ জয়ের বিপরীতে ইংল্যান্ডের জয় ৪১ ম্যাচে। টাই ২টি এবং ৩টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। বিশ্বকাপে এবারের আসরে দুর্দান্ত ফর্মে আছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ বাদ দিলে বাকি পাঁচ ম্যাচে চমৎকার পারফরম্যান্স দলটির। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় দিয়ে শুরু। এর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৫ রানে, পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪১ রানে, শ্রীলংকার বিপক্ষে ৮৭ রানে এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪৮ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অজিরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৪ রানের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু ইংল্যান্ডের। পরের ম্যাচেই পাকিস্তানের কাছে হোঁচট। ১৪ রানে হেরে যায় স্বাগতিকরা। এর পর বাংলাদেশকে ১০৬ রানে, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে এবং আফগানিস্তানকে ১৫০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে হ্যাটট্রিক জয়ের স্বাদ পায় ইংল্যান্ড। তবে শ্রীলংকার বিপক্ষে ষষ্ঠ ম্যাচে ২০ রানে হেরে সেমিফাইনালের পথ কঠিন করে ফেলে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ডু অর ডাই ম্যাচ ইংল্যান্ডের। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে জয় ছাড়া বিকল্প ভাবনা নেই মরগ্যানদের।

Share this content:

Back to top button