এবিএনএ : ঢাকার হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার শীর্ষ জেএমবি নেতা জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধীকে বগুড়ার দুইটি মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
সোমবার সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে বগুড়ার পৃথক দুইটি আমলী আদালতে নিয়ে পুরিম রিমান্ডের আবেদন করলে পৃথক ভাবে মোট ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ জানায়, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধীকে বগুড়ার শেরপুরে বোমা বিস্ফোরণ এবং শিবগঞ্জে সন্ত্রাস বিরোধী আইন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পৃথকভাবে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ ও ৪ এই দুইটি আদালতে তোলা হয় এবং ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়। প্রথমে শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক আব্দুল আল মামুন শেরপুরে বোমা বিস্ফোরণ সংক্রান্ত মামলায় তার ৮দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পরে তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-০৩ এর বিচারক কামরুজ্জামানের আদালতে নেয়া হয়। শুনানি শেষে শিবগঞ্জের সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলায় আদালত তাকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ জানায়, শেরপুর উপজেলার জুয়ানপুর গ্রামের একটি বাড়িতে জেএমবির বোমা তৈরির কারখানায় ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে জেএমবি দুই সদস্য নিহত হন। এ ঘটনায় বিস্ফোরণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে তদন্তকালে ওই ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
অন্যদিকে ২০১৬ সালের ১৩ জুন গভীর রাতে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ভায়েরপুকুর এলাকায় রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে জেএমবি সদস্যরা নাশকতামূলক তৎপরতা চালানোর জন্য গোপন বৈঠকে মিলিত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালাতে গেলে রাজীব গান্ধী পালিয়ে গেলেও তার সহযোগীরা ধরা পড়ে। ওই ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তকালে ধরাপড়া সহযোগীরা গোপন সভায় রাজীব গান্ধীর উপস্থিতির কথা স্বীকার করেন।
বগুড়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) শাজাহান আলী জানান, দুই মামলায় সম্পৃক্ততা পাওয়ার কারণে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধীকে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে ৮ দিন ও ৭দিন করে পৃথকভাবে মোট ১৫ দিন রিমান্ডে রেখে জিঞ্জাসাবাদের অনুমতি প্রদান করে।