এ বি এন এ : জেএমবির নারী শাখার প্রশিক্ষক ও দক্ষিণাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত আমিরসহ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনটির পাঁচজনকে আটকের দাবি করেছে র্যাব-১। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভাষ্য, গতকাল মঙ্গলবার রাতে ও আজ বুধবার ভোরে গাজীপুরের টঙ্গী ও হাজীর পুকুর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে পিস্তল, গুলি, হাতবোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধারের দাবি করেছে র্যাব।
র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন রাশেদুজ্জামান রোজ, আবদুল হাই, শাহাবুদ্দিন, ফিরোজ আহমেদ ও সাইফুল ইসলাম।
র্যাবের ভাষ্য, রাশেদুজ্জামানের বাড়ি ঝিনাইদহ। তিনি জেএমবির নারী শাখার প্রশিক্ষক ও দক্ষিণাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত আমির। আবদুল হাই চট্টগ্রামের একটি মসজিদের ইমাম ও আহলে হাদিসের সেক্রেটারি। শাহাবুদ্দিন জেএমবির আত্মঘাতী স্কোয়াডের সদস্য। ফিরোজ একটি লাইব্রেরির মালিক, সাইফুল স্টেশনারির মালিক। এই দুজন জেএমবিকে সহায়তা করতেন।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্প্রতি টঙ্গী থেকে জেএমবির দক্ষিণাঞ্চলের আমির মাহমুদ হাসানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে টঙ্গীতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে রাশেদুজ্জামান, আবদুল হাই ও শাহাবুদ্দিন আটক হন। তাঁদের দেওয়া তথ্যে হাজীর পুকুর এলাকায় দুটি দোকানে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ফিরোজ ও সাইফুলকে আটক করা হয়। দোকান দুটিতে অস্ত্র, গুলি, হাতবোমা, বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায়।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খানের ভাষ্য, রাশেদুজ্জামান অনেক দিন কানাডায় ছিলেন। সেখানে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন তিনি। ২০১২ সালে দেশে ফিরে তিনি জেএমবিতে যোগ দেন। আবদুল হাই কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে চট্টগ্রামের একটি মসজিদে ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শোলাকিয়ায় হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার সফিউলের সঙ্গে আত্মঘাতী প্রশিক্ষণে অংশ নেন শাহাবুদ্দিন। ফিরোজ ও সাইফুল নানাভাবে জেএমবিকে সহায়তা দিতেন।
র্যাব জানায়, আটক হওয়া পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।