এ বি এন এ : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আজ সোমবার। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে শহীদ হন তিনি। দিনটি স্মরণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা ও দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের পর তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। তার ডাক নাম ছিল কমল। বাবা মনসুরুর রহমান ও মা জাহানারা খাতুনের দ্বিতীয় ছেলে কমল ছোটবেলা থেকেই লাজুক ও গম্ভীর প্রকৃতির ছিলেন। বাবার চাকরির সুবাদে কলকাতায় তার বাল্যপাঠ শুরু হয় সেখানকার হেয়ার স্কুলে। দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সালে বাবার সঙ্গে করাচি চলে যান তিনি। জিয়াউর রহমান ছিলেন মেধাবী ছাত্র।
১৯৫৩ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং কমিশন পান ১৯৫৫ সালে। ১৯৬৬ সালে তিনি কাবুলে পাকিস্তান সামরিক একাডেমিতে ইন্সপেক্টর হন এবং একই বছর শেষদিকে কোয়েটা স্টাফ কলেজে যোগদান করেন। ১৯৭০ সালের অক্টোবরে নবগঠিত অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দায়িত্ব দিয়ে তাকে পাঠানো হয় চট্টগ্রামে।
আজ সোমবার বেলা ১১টায় জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উদ্যোগে এ সময় সেখানে কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য কর্মসূচির পাশাপাশি শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান ও ওষুধ বিতরণ করা হবে।