এ বি এন এ : জি-সেভেন আউটরিচ মিটিং উপলক্ষে জাপানে চার দিনের সফর শেষে দেশের পথে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
টোকিওর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে হানেদা বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা ও জাপানের রাষ্ট্রাচার প্রধান কাওরু শিমাজাকি বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে বিদায় জানান। শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাপানের নাগোয়ায় পৌঁছান। পরদিন সেখানে তিনি যোগ দেন জি-সেভেন আউটরিচ মিটিংয়ে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিশ্ব অর্থনীতির সাত পরাশক্তির জোট জি-সেভেনের সম্মেলনের পরদিন ওই আউটরিচ মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব স্পষ্ট হয়েছে। জি-সেভেনের সম্মেলনের পাশাপাশি আঞ্চলিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনার জন্য জোটের বাইরে থেকে বিভিন্ন দেশকে আলাদা বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। একেই বলা হচ্ছে জি-সেভেন আউটরিচ মিটিং।
এবার বাংলাদেশের পাশাপাশি এশিয়া থেকে লাওস, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলংকা, পাপুয়া নিউ গিনি এবং আফ্রিকা থেকে শাদকে আউটরিচ বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
সেদিন বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ছাড়া যে দেশগুলেকে মিটিংয়ে দাওয়াত দেয়া হয়েছে, তাদের সবাই কোনো না কোনো গ্রুপকে প্রতিনিধিত্ব করে। কিন্তু বিশ্ব অর্থনীতিতে আমাদের যে উল্লেখযোগ্য অবদান, সেজন্য বাংলাদেশকে দাওয়াত দেয়া হয়েছে।
আমন্ত্রিত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের পাশাপাশি জি সেভেন জোটের দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মেরকেল, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া অলন্দ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে নিজে আউটরিচ মিটিংয়ে অংশ নেন।