জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

চীনের প্রেসিডেন্টের সফর ৪০ বিলিয়ন ডলার ঋণ ও ২৫ চুক্তির ঘোষণা আসছে

এবিএনএ : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আসন্ন বাংলাদেশ সফরে দু’দেশের মধ্যে ২৫টির বেশি চুক্তি এবং এসব চুক্তির আওতায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণের ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে এই সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছে চীন। নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, চীনের প্রেসিডেন্টের সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন ইতিহাস রচনা করবে। কেননা বাংলাদেশে অবকাঠামোসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে এত বড় অংকের ঋণ কোনো একক দেশ আগে কখনও দেয়নি। প্রধানত বাণিজ্য ও অর্থনীতি, বিনিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি, শিক্ষা ও সংস্কৃতি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে এসব ঋণে প্রকল্প হাতে নেয়া হবে।

সফরের প্রথম দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকবেন দেশটির তিনজন স্টেট কাউন্সিলর, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী এবং উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশনের নির্বাহী চেয়ারম্যানসহ ২৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

সোমবার চীনের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আগামীকাল বেলা ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সফরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে চীনের প্রেসিডেন্ট দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার সকালে বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা আসছেন।

৩০ বছরের মধ্যে চীনের কোনো প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। চীন এ পর্যন্ত বাংলাদেশে সাতটি সেতু ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্পে এত বিশাল অংকের ঋণ ঘোষণার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক এক নতুন যুগে পদার্পণ করতে যাচ্ছে।

প্রায় দুই বছর ঝুলে থাকা চীনের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর অনেকটা আকস্মিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে। ফলে সফরের প্রস্তুতি নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। চীনের একটি অগ্রবর্তী প্রতিনিধি দল একদিন আগে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসছে। এদিন সন্ধ্যা নাগাদ চুক্তিগুলো চূড়ান্ত হবে। শুক্রবার দুপুরে চুক্তি সই করার পর ঋণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হবে। চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফজলুল করিম এরই মধ্যে ঢাকায় এসেছেন।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দুই ডজনের বেশি প্রকল্পের প্রস্তাব চীনের কাছে দেয়া হয়েছে যেগুলো দেশটির সরকার অভাবনীয় দ্রুতগতিতে অনুমোদন করছে। সফরের আগের রাত এমনকি সফরের শেষ মুহূর্তেও বেশকিছু প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে পারে। বাংলাদেশ যেসব প্রকল্প প্রস্তাব জমা দিয়েছে সেগুলো চীনের প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করলে চূড়ান্ত হয়ে থাকে। সর্বশেষ ঢাকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও জোরদার করার লক্ষ্যে ১৪ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে চীনের অর্থনৈতিক কমিটি। এ সংক্রান্ত চুক্তি এখন সই করার অপেক্ষায়।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তার দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে ‘রোড অ্যান্ড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ’ নামের একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। এটি তার নিজের ‘ফ্ল্যাগশিপ’ উদ্যোগ। এর অধীনে বিশ্বের ৬৫টি দেশ চীনের সঙ্গে সড়ক ও সমুদ্রপথে সংযুক্ত হবে। বাংলাদেশও এই উদ্যোগের আওতাভুক্ত। ‘পুরনো রেশমপথ ও সামুদ্রিক রেশমপথের পুনরুজ্জীবন’ নামের এই উদ্যোগের আওতায় উপ-আঞ্চলিক কানেকটিভিটি এবং বিশ্বের দেশে দেশে অবকাঠামো উন্নয়নে হাত দিয়েছে চীন। বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারকে সংযুক্ত করে বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডোর এবং সমুদ্রপথে চীন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও ভারতকে সংযুক্ত করা হবে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরে ‘রোড অ্যান্ড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ’র আওতায় একটি কাঠামোগত চুক্তি সই হবে। এর মাধ্যমে শি জিনপিংয়ের এই উদ্যোগে বাংলাদেশ নিজের সম্পৃক্ততা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবে।

চীনের সহায়তায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের কাজ ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ৭৭৪ একর ভূমিতে ‘চাইনিজ ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন’ (সিইআইজেড) উন্নয়নে ঋণ ঘোষণা করা হতে পারে। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি নিরসনে এই বিশেষ শিল্পাঞ্চল ভূমিকা রাখবে বলে চীনের কর্মকর্তারা মনে করেন। ২০১৫-১৬ সালে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ৯ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ আমদানি করেছে আট হাজার ২২৩ দশমিক ২০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আর বাংলাদেশ চীনে রফতানি করেছে মাত্র ৭৯১ দশমিক শূন্য তিন মিলিয়ন ডলারের পণ্য। বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ আট বিলিয়ন ডলারের বেশি। ‘এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট’ (আপটা)-এর অধীনে বাংলাদেশ চীনের বাজারে চার হাজার ৭২১টি পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে।

এদিকে চীনের পক্ষ থেকে দু’দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সফরকালে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির প্রভাব ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ঘোষণা দেয়া হতে পারে। এ চুক্তি হলে এটি হবে বাংলাদেশের সঙ্গে পৃথিবীর কোনো দেশের প্রথম দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। কর্মকর্তারা বলছেন, চীনের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে খুবই আগ্রহী। তাদের দক্ষ জনবল ও প্রযুক্তি রয়েছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফরকালে সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে মেরিন ড্রাইভওয়ে এবং উপকূল সুরক্ষা প্রকল্প বিষয়ে চুক্তি সই হতে পারে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ব্যক্তিগত আগ্রহে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বড় অঙ্কের ঋণ সহায়তার ঘোষণা দেবে চীন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) নতুন ৪টি স্টেশন করার প্রস্তাবেও ইতিবাচক সাড়া রয়েছে। ঢাকায় একটি বৃহৎ বর্জ্য শোধনাগার প্রতিষ্ঠায় ঋণ দিতে পারে চীন। পায়রায় মেগা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ পেতে যাচ্ছে চীন। দেশটি শুধু ঋণ সহায়তা নয়, কিছু ক্ষেত্রে কারিগরি সহায়তাও দেবে।

চীনের কাছে কী চায় বাংলাদেশ : চীনের কাছে বাংলাদেশের প্রত্যাশার পারদ দিন দিন উপরে উঠছে। তবে এখন আর বাংলাদেশ এশিয়ার ক্ষমতা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত দেশটির কাছে মঞ্জুরি সহায়তা চায় না। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের এ সফরে বাংলাদেশের যেসব প্রত্যাশা আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে সেগুলোর মধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থায়ন এবং বিনিয়োগ আছে এক নম্বরে। শিল্পের উন্নয়ন ও কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির সংযোজন, তথ্যপ্রযুক্তিসহ কারিগরি-নির্ভর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, চীনের শিল্প বাংলাদেশে স্থানান্তর, গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ প্রভৃতি সহায়তা চায় বাংলাদেশ। চীনের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা চায় বাংলাদেশ। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা, কৃষি, শিল্প, যোগাযোগ, পানিসম্পদ, নদীশাসন, বন্যা ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা চায় বাংলাদেশ।

গভীর সমুদ্রবন্দর নিয়ে দ্বিধা : চীন বরাবরই বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়ায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করে দিতে আগ্রহী। ইতিমধ্যে শ্রীলংকায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করে দিয়েছে চীন। বাংলাদেশের বাণিজ্যের সিংহভাগ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে হয়ে থাকে। ফলে সোনাদিয়াকে সমুদ্রবন্দরের জন্য আদর্শ স্থান বিবেচনা করে চীন। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার পটুয়াখালীর পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের চিন্তা বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ। চীন বলছে, পায়রাসহ বঙ্গোপসাগরের যে কোনো স্থানেই গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে তাদের আগ্রহ রয়েছে। আসন্ন সফরে এ ইস্যু আলোচনায় ওঠাতে পারে চীন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- পায়রায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজকে ২২টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যে দেশ যে কাজ সময়মতো করে দিতে পারবে সেই দেশকেই সে কাজ দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে চীনও যে কোনো ভাগের কাজ করতে পারে।

শুধু দ্বিপক্ষীয় নয়, কৌশলগতও : দু’দেশের মধ্যে সম্পৃক্ততা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেটাকে আর নিছক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। কৌশলগত উপাদানও যুক্ত হচ্ছে। এ সম্পর্কের সূচনা হয় ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের সময়। তখন দু’দেশের মধ্যে ‘ক্লোজার কম্প্রিহেনসিভ পার্টনারশিপ অব কো-অপারেশন’ নামের যে চুক্তি সই হয় তাকে বলা হয়েছিল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের রোডম্যাপ। তারপর ২০১৪ সালেও শেখ হাসিনা চীন সফর করেছিলেন। শি জিনপিং চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ২০১০ সালে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ায় এখন তিনি চীনের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তিনি একই সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রপ্রধান, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান।

এ সফর দু’দেশের মধ্যে গভীর অংশীদারিত্বের ইঙ্গিত হলেও তার মাত্রা চীন-পাকিস্তান অংশীদারিত্বের মতো উচ্চ নয়। অবশ্য চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশ চীনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এদিকে সাম্প্রতিক দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে সৃষ্ট ইস্যুতে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ। বলেছে, বাংলাদেশ কোনো পক্ষে যাবে না। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে বিরোধ নিষ্পত্তির পক্ষে বাংলাদেশ। এদিক থেকে পাকিস্তানের থেকে বাংলাদেশের অবস্থান আলাদা। পাকিস্তান দক্ষিণ চীন সাগরের প্রশ্নে চীনের পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশের কৌশলী অবস্থানকে ইতিবাচকভাবেই দেখে চীন। তাই প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফর ঘোষণাকালে চীনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- খোলামন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করবে চীন। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের কৌশলগত অংশীদারিত্ব কিছুটা জোরদার হওয়ায় ভারত, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আসন্ন বাংলাদেশ সফরের প্রতি কৌতূহলী দৃষ্টি রাখছে।

কর্মসূচি : শি জিনপিংয়ের আসন্ন বাংলাদেশ সফর তার তিন দেশের সফরের অংশ। তিনি কম্বোডিয়া হয়ে বাংলাদেশে আসবেন। বাংলাদেশ থেকে তিনি ভারতের পর্যটননগরী গোয়ায় অনুষ্ঠেয় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেবেন। ঢাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শি জিনপিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। চীনের প্রেসিডেন্টের সম্মানে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের আয়োজন করবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। চীনের প্রেসিডেন্ট জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অমর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরকালে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকসহ প্রায় ২০০ জন সফরসঙ্গী থাকবেন। জাতীয় স্মৃতিসৌধে চীনের পক্ষ থেকে একটি অস্থায়ী টিভি স্টেশন স্থাপন করে তা থেকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সফর সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। পরে এই টিভি স্টেশনটি চীনের প্রেসিডেন্টের অন্য কর্মসূচিস্থলে স্থানান্তর করা হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সফরকালে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। শনিবার সকালে ভারতের পর্যটননগরী গোয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

Share this content:

Related Articles

Back to top button