এবিএনএ : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু দেশে চলচ্চিত্রের পুনরুজ্জীবন ঘটাতে আধুনিক ডিজিটাল প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণ, পাইরেসি রোধ ও মানসম্মত সিনেমা নির্মাণের তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সকল চলচ্চিত্রসেবীদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আজ জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান। এর আগে বিএফডিসি প্রাঙ্গণ থেকে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালীতে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরসহ নেতৃত্ব দেন হাসানুল হক ইনু।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মরতুজা আহমদ। বাংলাদেশ সিনেমা ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী ও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, ‘দর্শক সংকট ও বিলুপ্তির পথে প্রেক্ষাগৃহ : বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, মসিউদ্দীন সাকের, ম. হামিদসহ চলচ্চিত্র শিল্পী-কলাকুশলীবৃন্দ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র টিকে থাকার শিল্প। যতই টেলিভিশনে বা মোবাইলে দেখা হোক না কেন, বড় পর্দায় হলে বসে সিনেমা দেখার আবেদন অটুট থাকবে। ইনু বলেন, প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখতে গেলে যাপিত জীবন থেকে বেরিয়ে কিছুক্ষণের জন্য দর্শকেরা চলে যান মন ও মননের এক ভিন্ন জগতে।
তিনি বলেন, ‘সুতরাং, চলচ্চিত্রে বিনিয়োগ করুন, ভাল চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন’। মন্ত্রী জানান, সাভারের কবিরপুরে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটিতে আগামী জুলাই মাস থেকে শ্যুটিং করা যাবে। এছাড়া, বিএফডিসি সংলগ্ন স্থানে বৃহদায়তন চলচ্চিত্র-শিল্পী-সাহিত্য মিলন কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসের সেমিনারে তথ্যমন্ত্রী পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেন যে, মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মানের দুটি সম্পূর্ণ চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে। তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ চলচ্চিত্রের বিকাশে সংশ্লিষ্ট আইন যুগোপযোগী করা ও প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।