এবিএনএ : ৪৪ রানে অল আউট! ৬৪ বলেই ইনিংস শেষ! খুলনা টাইটান্সকে মাত্র ১০.৪ ওভারে ৪৪ রানেই বিপিএলে আজ বৃহস্পতিবার অল আউট করে দিয়েছে রংপুর রাইডার্স। এটা বিপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন দলগত রানের নতুন রেকর্ড। গত বছর এই মাঠেই সিলেট সুপারস্টার্স ১৬ ওভারে ৫৮ রানে অল আউট করেছিল বরিশাল বুলসকে। বরিশালকে মুক্তি দিয়ে লজ্জার রেকর্ডটি এখন খুলনার।
টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এটি আবার তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। এর চেয়ে কম রানে অল আউট হওয়ার রেকর্ড ৩৯ (নেদারল্যান্ডস) ও ৩০ (ত্রিপুরা)। বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-টোয়ন্টেির ইতিহাসেরও সর্বনিম্ন স্কোর খুলনার ওই ৪৪।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রংপুরের বোলিং ঘুর্ণীর মধ্যেই পড়ে মাহমুদ উল্লাহর খুলনা দল। শহীদ আফ্রিদি ৩ ওভারে ১২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া বাঁ হাতি স্পিনার আরাফাত সানি ২.৪ ওভারে ৩ উইকেট দিয়েছেন কোনো রান না দিয়েই! এই এক অন্যরকম রেকর্ড!
খুলনা ১৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়েছিল। সেখান থেকে ৩১ রানে যায় আর কোনো উইকেট না হারিয়ে। কিন্তু পরের ১৩ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়ে তারা।
ম্যাচের দ্বিতীয় বল থেকে উইকেট হারাতে শুরু করে খুলনা। সোহাগ গাজী প্রথমে বোল্ড করলেন নিকোলাস পুরানকে (০)। তৃতীয় ওভারে তার সরাসরি থ্রোতে রান আউট অন্য ওপেনার আব্দুল মজিদ (৬)। এরপর ৩ বলে ৩ উইকেট হারায় খুলনা। অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ (১) বোল্ড রিচার্ড গ্লেসনের বলে। পরের দুই বল ম্যাচে শহীদ আফ্রিদির প্রথম ওভারের প্রথম দুই বল। তাতে শিকার রিকি ওয়েসেলস (৫) ও অলক কাপালি (০)। শুভাগত হোম (১২) ইনিংস সর্বোচ্চ রান করলেন। ইনিংসে দুই অংকে যাওয়া একমাত্র ব্যাটসম্যানও তিনি। চার ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন শূণ্য রানে। আরিফুল হকের (৭) সাথে শুভাগতর ১৬ ইনিংস সর্বোচ্চ জুটি। সপ্তম ওভারে আফ্রিদি তার তৃতীয় শিকার বানান শুভাগতকে।
এরপর শুরু করেন সানি। নবম ওভারে দুই উইকেট নেন এই বোলার। ৪০ রানে ৮ উইকেট নেই। পরের দুই ওভারে আফ্রিদি ও সানি ১টি করে উইকেট নিয়ে মাত্র ৪৪ রানেই গুটিয়ে দেন প্রতিপক্ষকে। বুধবার খুলনা ও রংপুর এবারের আসরে তাদের প্রথম ম্যাচ জিতেছে।