পোড়া স্কুলে শিক্ষার্থীদের কান্না

প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, স্থানীয় কিছু লোক সম্প্রতি স্কুলের কার্যক্রমে নানাভাবে বাধা দিয়ে আসছিল। তারা সেখানে আরেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে চায়। কিছুদিন আগে একাডেমির পাশেই একটি চক্র মাদক, জুয়া ও যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্যের আসর বসায়। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারই কুন্দেরপাড়া স্কুল মাঠে এক সুধী সমাবেশ হয়। এসব কারণে ওই চক্রটি ক্ষিপ্ত হয়ে স্কুল ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে তার ধারণা।
কামারজানী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান, গণউন্নয়ন একাডেমি স্কুলটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল। নারী শিক্ষার মান উন্নয়ন ও আবাসিক সুবিধা থাকায় প্রতিষ্ঠানটি চরাঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রাখছিল।
বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম. আবদুস সালাম বলেন, বিদ্যালয়ের কার্যক্রম ফের শুরু করতে নতুন করে ভবন নির্মাণ করতে হবে। এ জন্য সময়ের প্রয়োজন। শিক্ষার্থীরা এখন লেখাপড়া কোথায় করবে তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় পড়েছি।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ছামছুল আজম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলীয়া ফেরদৌস জাহান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সদর থানার ওসি এ কে এম মেহেদী হাসান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনারও আশ্বাস দেন তিনি।
Share this content: