
এবিএনএ : প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস ঝুঁকিতে দায়িত্ব পালন করছেন ইউনিয়ন পর্যায়ে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিগণ ও ইউনিয়ন পরিষদ সচিব বৃন্দ। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ইউনিয়নস্থ সরকারের অধিকাংশ কর্মকর্তা, কর্মচারিগণ ছুটি ভোগ করে থাকলেও ছুটি ভোগ না করে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ঝুঁকিতে গ্রামঅঞ্চলের তৃণমূলে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন সারা দেশের সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদ সচিব । বিশেষ করে ইউপি সচিবরা এই দূর্যোগ কালীন মুহুর্তে দুঃস্থ,অসহায়,দিনমজুর ও উপকার ভোগীদের তালিকা করনে জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা, মন্ত্রনালয়,জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের সকল প্রকার দাপ্তরিক কার্য রির্পোট, রির্টান প্রেরণসহ জরুরী ত্রাণ কার্যক্রম ভিজিএফ, ভিজিডি, জি.আর, জেলেদের বিশেষ ভিজিএফ চাল উত্তোলন, গুদামজাতকরণ, বিতরণ ও বতর্মান প্রেক্ষাপটে ইউনিয়ন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে প্রবাসীদের তালিকা, হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করা, মাইকিং করা, জনগনকে সচেতন সহ সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করে চলছেন । স্থানীয় সরকার( ইউনিয়ন পরিষদ) আইন,২০০৯ এর ৮ ধারা মোতাবেক ইউনিয়নকে প্রাশাসনিক একাংশ ঘোষনা করা হয়েছে এবং ত্রাণ কাজে মাঠ প্রশাসনে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে ইউপি সচিবগণ । এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতি (বাপসা) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ দেলওয়ার হোসেন জানান যে, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার আলোকে সারা বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার ৪৫৭১ জন ইউ.পি সচিব জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোন রকম সুরক্ষা ছাড়াই মানবতার সেবায় অগ্রসর হয়ে দিন রাত নিরলসভাবে নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রশাসনের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বাপসার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এইচ,এম,রেজাউল করিম (তুহিন) জানান, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত, করোনায় ঝুঁকি নিয়ে যারা কাজ করবেন, তাদের পুরষ্কৃত করাসহ স্বাস্থ্যবীমা প্রদান করা হবে। এমতাবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও জন প্রতিনিধিদের সার্বিক সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যবীমা প্রদান সহ করোনা যোদ্ধা হিসেবে ঘোষিত প্রনোদনার অন্তর্ভুক্ত করনের নিমিত্তে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সকলকে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান তিনি।এপ্রসঙ্গে বাপসার উপদেষ্টা ও জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. নজরুল ইসলাম তামিজী বলেন, বর্তমানে বাপসার সাড়ে চার হাজার সদস্য ত্রাণবিতরণসহ জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ চরম স্বাস্থঝুঁকিতে দায়িত্বপালন করছে। তাদের জন্য প্রণোদনা ও পিপিইসহ নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। আরও জানতে, ১.বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতি (বাপসা) সভাপতি এইচ এম রেজাউল করিম তুহিন- ০১৭১৫০৫৫০৪৭ ২. অধ্যাপক মু. নজরুল ইসলাম তামিজী, চেয়ারম্যান, জাতীয় মানিবাধিকার সোসাইটি-০১৭১২০৬৮৯৮৩
Share this content: