
এবিএনএ : মেক্সিকোর সীমান্ত বরাবর দেয়াল নির্মাণ নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে বলে যে খবর প্রচারিত হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তা অস্বীকার করেছেন। এর আগে এই দেয়াল নির্মাণ নিয়ে মি. ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে বলে স্বীকার করেছিলেন হোয়াইট হাউজের চিফ অফ স্টাফ জন কেলি। ফক্স নিউজের সাথে এক সাক্ষাৎকারে জন কেলি একথা জানান।
মেক্সিকো বরাবর দেয়াল নির্মাণের প্রশ্নে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেয়ার সময় বিষয়টি সম্পর্কে মি. ট্রাম্পের ধারণা পরিষ্কার ছিল না বলে তিনি মন্তব্য করেছিলেন বলে যে খবর বেরিয়েছে, মি. কেলি তাও অস্বীকার করেননি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বুধবার ইমিগ্রেশন নিয়ে এক বৈঠকের সময় মি. কেলিকে এই মন্তব্য করতে শোনা যায়। ইমিগ্রেশন নিয়ে মার্কিন সংসদ এবং হোয়াইট হাউজের মধ্যে যে বিবাদ শুরু হয়েছে তার জেরে সরকারের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
জন কেলি ঐ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, মার্কিন প্রশাসন এখন যে দেয়াল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সেটির দৈর্ঘ্য হবে ১৩০০ কিলোমিটার। আগে পরিকল্পনা ছিল ৩১০০ কি.মি. দেয়াল নির্মাণের।
তিনি জানান, এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২০০০ কোটি ডলার। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রাথমিকভাবে মনে করেছিলেন, এই দেয়াল নির্মাণে ১০০০ থেকে ১২০০ কোটি ডলার ব্যয় হবে।
নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছিলেন, এই ব্যয়ের পুরোটা আদায় করা হবে মেক্সিকোর কাছ থেকে।
হোয়াইট হাউজের চিফ অফ স্টাফ জন কেলি বলছেন, তারা এখন ভিন্ন উপায়ে অর্থ জোগানোর কথা চিন্তাভাবনা করছেন। যেমন, ভিসা ফি বৃদ্ধির মাধ্যমে এবং নাফটা বাণিজ্য চুক্তিতে নতুনভাবে দরকষাকষির মাধ্যমে। ‘নির্বাচনী প্রচার চালানো প্রশাসন পরিচালনা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন’ বলে জন কেলি মন্তব্য করেন। তবে এই দেয়াল কোনও অর্থ দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিকে পেনা নিয়েতো। প্রতিবছর কাজ বা ভাল জীবনের খোঁজে নতুন করে হাজার হাজার মেক্সিকান অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে। এটি সবসময়ই মার্কিন রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণা ইতোমধ্যেই মেক্সিকোতে কড়া সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে। মেক্সিকানরা এটিকে বর্ণবৈষম্যবাদ বলে আখ্যা দিয়েছে।
Share this content: