লাইফ স্টাইল

শর্তে সুখী!

এবিএনএ : ভালোবাসা শর্ত দিয়ে হয় না, তবে ভালো থাকা হয়। যেমন ভালোবাসার শুরুতে ইশারায় কিংবা চোখে চোখে কথা বলাই যথেষ্ট মনে হলেও বিয়ে বা প্রেমের কয়েক বছর পর অনেক কিছুতেই ইশারায় আর কাজ হয় না।মান-অভিমান আর কখনো খুনসুটি ছাড়িয়ে দেখা দেয় নানা সমস্যা।

সর্ম্পকে সমস্যা যাই হোক, তা আলোচনা বা কথোপকথনের মাধ্যমে সমাধান সম্ভব। কিন্তু সেই কথোপকথনেই যদি আপত্তি থাকে তাহলে ছোট খাট মান অভিমানও রূপ নেয় বড় ঝগড়ায়।

অনেকেই চুপ থাকাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। তবে জেনে রাখা ভালো সব ব্যাপারে নীরবতা ভবিষ্যৎ ঝড়ের পূর্বাভাস নিয়ে আসে।

বিভিন্ন গবেষণা প্রমাণ করে যোগাযোগের অভাবের কারণে হার্টের সমস্যাও হতে পারে। পারস্পরিক যোগাযোগের অভাবে পরস্পরের প্রতি প্রিয়জনের প্রতিও মনের টানও কমে যায়। ফলে বাড়ে দূরত্ব।

সঙ্গীর সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মান অভিমান, সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি মানসিক শান্তিও আসে।

দাম্পত্য জীবনে সুখে থাকার সহজ শর্ত:
কথা বলুন
সঙ্গীর সাথে সকল বিষয়ে কথা বলুন। তার সাথে সারাদিনে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো শেয়ার করুন।

প্রতিশ্রুতি
যে কোনো সর্ম্পকে একে অপরের প্রতি কমিটেড থাকা খুব জরুরি।

অভিযোগ
যদি কোনো বিষয়ে মনে কষ্ট পেয়েও থাকেন, তা সরাসরি সঙ্গীকে বলুন। মনে চেপে রাখবেন না। তবে অবশ্যই সকলের সামনে নয়।

ভালোবাসুন 
সমস্ত রাগ অভিমানের উর্ধ্বে গিয়ে সঙ্গীকে ভালোবাসুন। তাকে বুঝতে দিন আপনি তাকে কতটা ভালোবাসেন।

যত্ন নিন
সঙ্গীর যত্ন নিন। খাবার, কাজ, বিশ্রাম, সকল বিষয়ে যত্নশীল হোন।

প্রশংসা করুন
আপনার সঙ্গীর প্রতিটি ছোট বড় কাজের প্রশংসা করুন।

আমরা প্রত্যেকেই চাই প্রিয়জনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্থায়ী এবং মধুর হবে। তবে এর জন্য দুজনকেই উদ্যোগী হতে হয়। কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য চুপ থাকা সঠিক পদক্ষেপ নয়।

কোনো কারণে যদি কথা বলতে দ্বিধাবোধ করেন, তবে এসএমএস অথবা ফেসবুকের সাহায্য নিতে পারেন।

সম্পর্কের শীতলতা ভেঙে না হয় আপনিই আজ বন্ধুত্বের হাত বাড়ান।

Share this content:

Related Articles

Back to top button