এবিএনএ: দেশজুড়ে বজ্রপাত আবারও প্রাণঘাতী রূপ নিয়েছে। গতকাল কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও শরীয়তপুরে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন। একইসঙ্গে আহত হয়েছেন অনেকে।
অবস্থা এতটাই আশঙ্কাজনক যে, আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের নয়টি অঞ্চলের নদীবন্দরে এক নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে।
কোথায় কত মৃত্যু:
কুমিল্লা:
বরুড়া, মুরাদনগর ও দেবিদ্বার উপজেলায় বজ্রপাতে মারা গেছেন ৫ জন। এর মধ্যে দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে খেলার মাঠে এবং তিনজন কৃষক মারা গেছেন মাঠে কাজ করতে গিয়ে।
কিশোরগঞ্জ:
অষ্টগ্রাম ও মিঠামইন উপজেলার হাওরে তিনজন নিহত, আহত আরও কয়েকজন।
নেত্রকোনা:
মদন ও কলমাকান্দা উপজেলায় নিহত ২ জন — একজন শিশু, অন্যজন মাদরাসা শিক্ষক।
হবিগঞ্জ:
বানিয়াচংয়ের হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মারা যান এক শ্রমিক। আহত হন আরও তিনজন।
সুনামগঞ্জ:
শাল্লা উপজেলায় হাওরে মারা গেছেন এক কলেজছাত্র।
চাঁদপুর:
কচুয়ার নাহারা গ্রামে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন এক নারী কৃষক।
মৌলভীবাজার:
বড়লেখার শ্রীধরপুর গ্রামে ধান কাটার সময় প্রাণ হারান এক চা-শ্রমিক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
বাঞ্ছারামপুরে বজ্রপাতে নিহত হন এক কৃষক, আহত আরও একজন।
শরীয়তপুর:
ভেদরগঞ্জে বজ্রপাতে মারা গেছেন এক নারী।
সতর্কতা ও পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানিয়েছেন, শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর তাপমাত্রা আবার বাড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:
বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠ, ধানক্ষেত, জলাশয় কিংবা উঁচু গাছপালা থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। বজ্রপাতের সময় নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আপনি কি চান এই প্রতিবেদন থেকে একটি তথ্যচিত্রের স্ক্রিপ্ট বা সংবাদভিত্তিক ভিডিও রিপোর্ট তৈরি করতে সাহায্য করি?
Share this content: