তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণকে ভয়, বিএনপিকে ভয় পায়, বিশেষ করে খালেদা জিয়াকে ভীষণ ভয় পায়। এ কারণেই তারা সমাবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে না।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলানয়তনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ ভালো করেই জানে খালেদা জিয়া যদি মাঠে নামেন, তাহলে লাখ লাখ জনতা তার পিছু পিছু মাঠে নামে। কারণ তিনি হচ্ছেন গণতন্ত্রের মূর্ত প্রতীক। আর আওয়ামী লীগ এই গণতন্ত্রকামী জনগণকে ভীষণ ভয় পায়। সেজন্যই তারা সমাবেশের অনুমতি দিচ্ছে না।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নতুন আঙ্গিকে পুনরায় একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায় মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, তাদের আচরণ কোনো সময়ই গণতান্ত্রিক ছিল না। তারা সবসময়ই একদলীয় চিন্তাভাবনা নিয়ে রাজনীতি করে গেছে। জনমত এবং জনগণের চাওয়াকে তারা কখনোই গুরুত্ব দেয়নি। এ কারণেই ৭ নভেম্বরের মতো একটা ঐতিহাসিক দিন তারা নিজেরাও পালন করে না, আমাদেরও পালন করতে দিচ্ছে না। সুতরাং আমাদের বসে থাকলে চলবে না, জেগে উঠতে হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাড়িঘরে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খুবই পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে। যেন জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ডাইভার্ট হয়ে (চলে) যায়। একটি ঘটনা ঘটার পর এতো পুলিশ-এতো প্রশাসনিক তৎপরতার মধ্যেও কীভাবে গতরাতে আরও পাঁচটি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হলো। মূলত সাম্প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্যই পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল একই স্থানে সমাবেশ করতে চেয়েছে অজুহাত দিয়ে আমাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাহলে আমরা ৮ তারিখে সমাবেশ করবো। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে না হোক, আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে করবো। এখন দেখি আপনারা কোন অজুহাত দেন।
মহিলা দল সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মইন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।