এ বি এন এ : জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেলের পর এবার বৃটেনকে হুঁশিয়ারি দিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওঁলাদে। তিনি বলেছেন, ব্রেক্সিটের জন্য বৃটেনকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে প্রতিপালন করবে ফ্রান্স ও জার্মানি। এর আগে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল বৃটেনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি শরণার্থীর সংখ্যা কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নেয় বৃটেন তাহলে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাণিজ্যিক সুবিধা পাবে না। তাদেরকে একক বাজার সুবিধা দেয়া হবে না। ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদে ঠিক একই রকম কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার ক্ষেত্রে বৃটেনকে চড়া মূল্য দিতে হবে। তিনি আরও পরিষ্কার করে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রজেক্টের প্রবক্তা বা প্রতিষ্ঠাতা জনক হলো জার্মানি। সেই দেশকে সঙ্গে নিয়ে তার দেশ ফ্রান্স গড়ে তুলবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার রাতে প্যারিসে এক নৈশভোজে তিনি এসব মন্তব্য করেন। জ্যাকস ডেলোরস ইন্সটিটিউটের ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ-ক্লাউডি জাঙ্কার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্রেক্সিট নিয়ে মূল সমঝোতাকারী মাইকেল বার্নিয়ার। ওঁলাদের এ মন্তব্যের পর মুদ্রাবাজারে প্রভাব পড়েছে। আরও একবার ইউরোর বিপরীতে পাউন্ডের দরপতন হয়েছে। ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদে তার বক্তব্যে বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়তে চায় বৃটেন। কিন্তু কিছু না দিয়েই তারা তা করতে চায়। এটা তো সম্ভব হতে পারে না। রহস্যময় পরিস্থিতি না বৃটেনের স্বার্থে না ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বার্থে কাজে লাগবে। ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী মাইকেল সাপিন তো আরও কড়া ভাষায় কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ব্রেক্সিটের ফলে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে। তার দেশের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদের সতর্কবাণী, বৃটেন ব্রেক্সিটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি মনে করি এটা খুব কঠিন অর্থেই ব্রেক্সিট হবে। বৃটেনের এই ইচ্ছার দিকে আমাদেরকে নজর রাখতে হবে। তিনি সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেছেন, আমাদেরকে তাকাতে হবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মূলনীতির দিকে। তা নাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য দেশগুলোও এ ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যেতে চাইবে। সব সময়ই সঙ্কট রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে। কিন্তু এই সময়ে এটা তার চেয়েও বড় সঙ্কট।