এবিএনএ: বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা সচিবালয়সহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোতে ঘাপটি মেরে আছে। সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড তাদেরই ষড়যন্ত্রের অংশ। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আটপুনিয়ায় এলাকায় সচিবালয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে নিহত মো. সোহানুর জামান নয়নের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তার পতিত রাজনীতিবিদ ও প্রেতাত্মাদের পাচার করা অর্থের নথিপত্র ধ্বংস করতে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। ফায়ার ফাইটার নয়ন সেই স্বড়যন্ত্রের অগ্নিকাণ্ড নেভাতে নিজের জীবন উৎসর্গ করে পেশাদারিত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।”
নয়নের অসহায় পরিবারের পাশে বিএনপি সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস্ত করেন তিনি। একই সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়াসহ পুনর্বাসন করতে সরকারকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রিজভী। এ সময় দ্রব্যমূল্যে ঊর্ধ্বগতির দাম প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি জনগণের মানসিকতা বুঝে দ্রব্য মূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানান। পরে নয়নের কবর জিয়ারত করেন তিনি। এছাড়া, দলের পক্ষ থেকে নয়নের পরিবারকে দুই লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।
এসময় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, রংপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান লাকুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। গত ২৫ ডিসেম্বর রাত ১টার পর সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ওই ভবনটিতে ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ অবস্থিত বলে জানা যাচ্ছে।