এবিএনএ: যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে যোগ দিয়েছেন টেসলার কর্নধার এবং আলোচিত ধনকুবের ইলন মাস্ক। পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার শহরে আয়োজিত এক জনসভায় অংশ নেন তিনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী জনসভায় ট্রাম্প গত ১৩ জুলাই কানে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা স্মরণ করেন। এক পর্যায়ে তিনি তার বক্তৃতার মাঝখানে টেসলার প্রধান নির্বাহী এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্কে মঞ্চে ডাকেন। গত ১৩ জুলাই গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ট্রাম্পের এটাই প্রথম জনসভা ছিল।
ট্রাম্পের আহ্বানে হাত নাড়িয়ে মঞ্চে উঠেন ইলন মাস্ক। এ সময় তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচনে অবশ্যই ট্রাম্পের জয়ের জন্য ভোট দেওয়া উচিত। কারণ তিনি কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।’
মাস্ক আরও বলেন, ‘আপনাদের সবাইকে ট্রাম্পের হয়ে কাজ করা উচিত। সংবিধান রক্ষা করতে অবশ্যই ট্রাম্পকে জেতাতে হবে। আমেরিকায় গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে তাকে অবশ্যই জিততে হবে। এটা মাস্ট-উইন পরিস্থিতি। তাই দর্শকদের আসনে যারা বসে আছেন, যারা এই ভিডিওটা দেখছেন, যারা লাইভস্ট্রিমিং দেখছেন, তাদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ।’
তিনি বলেন, ‘এই একটা অনুরোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভোট দেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করুন। আপনারা যাদের চেনেন, তাদের সেটা জানান। আর যাদের চেনেন না, তাদের ধরে টেনে আনুন, যাতে তারাও ভোট দেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করেন। আর তারপর নিশ্চিত করুন যে তারা ভোট দিচ্ছেন। তারা যদি ভোট না দেন, তাহলে এটাই শেষ নির্বাচন হবে। এটাই আমার ভবিষ্যদ্বাণী।’
সমাবেশে মার্কিন নাগরিকদের দ্রুত ভোটার তালিকায় নাম নিবন্ধনের জন্য আহ্বান জানান মাস্ক। তার ভাষ্য, এবার ট্রাম্পকে ভোটে জেতাতে না পারলে; ভবিষ্যতে আর ভোট দেওয়ার পরিস্থিতি থাকবে না মার্কিন রাজনীতিতে।
হোয়াইট হাউজের মসনদ নিশ্চিতে ইলন মাস্কের জনপ্রিয়তার ওপর ভর করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। গত আগষ্টে ট্রাম্প বলেছিলেন, নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি ইলন মাস্ককে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের একজন উপদেষ্টা বা মন্ত্রিপরিষদের সদস্য করার প্রস্তাব দিতে চান। যদিও মাস্ক এ ধরনের দায়িত্ব পালনে ইচ্ছুক হন।
সমাবেশে ট্রাম্প তার বক্তৃতায় বলেন, ‘বিদেশি শত্রুর চেয়ে দেশের শত্রুই সবচেয়ে বেশি বিপদজনক। কারণ একজন ঠাণ্ডা মাথার খুনি আমাকে হত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে।’
উল্লেখ্য, এই বাটলার শহরেই গত ১৩ জুলাই একটি নির্বাচনী জনসভায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। অল্পের জন্য রক্ষা পান সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রাণে বেঁচে গেলেও গুলি লেগে ট্রাম্পের কান ফুটো হয়ে যায়। এসময় ট্রাম্পের এক সমর্থক নিহত হন।