এবিএনএ: বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের আরও তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যবহৃত গাড়ি ও তার চালককেও আটক করা হয়েছে। রবিবার রাতে থানচি থেকে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে ওই ঘটনায় পাঁচজন আটক হলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন। তিনি বলেন, ‘গতকাল রবিবার গভীর রাতে থানচিতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে কেএনএফের তিন সদস্যকে আটক করেছে। এর মধ্যে একজন ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এছাড়া ব্যাংক ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ ও চালককে আটক করা হয়েছে।’
এর আগে রবিবার কুকি–চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অন্যতম শীর্ষ নেতা ও সমন্বয়ক চেওসিম বমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। চেওসিম কেএনএফের আদি সংগঠন ‘কুকি চিন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কেএনডিও)’ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং নাথান বমের ঘনিষ্ঠজন বলে জানিয়েছে র্যাব।
এদিকে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে রুমা-থানচি উপজেলায় কেএনএফের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বহরে যুক্ত হয়েছে বিশেষ সাঁজোয়া যান— এপিসি। বিশেষ এই যান দিয়ে দুই উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টহল দেবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমি বলেন, ‘উদ্ভুত পরিস্থিতিতে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে চারটি এপিসি আনা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনে আরও আনা হবে। জনসাধারণের নিরাপত্তায় চলমান সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় এপিসিগুলো রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যবহৃত হবে।’
এপিসি হলো যুদ্ধে ব্যবহৃত একপ্রকার অস্ত্রসজ্জিত যানবাহন, যা পদাতিক বাহিনীকে যুদ্ধের ময়দানে পৌঁছে দিতে ও ফেরত আনতে ব্যবহৃত হয়। এতে অস্ত্র হিসেবে ভারী অস্ত্রের মধ্যে রিকয়েললেস রাইফেল, ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল, বা মর্টার শেল ব্যবহার করা হয়।