এবিএনএ: আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ খুলনায় যাচ্ছেন। বিকালে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে জনসভা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট চওড়া মঞ্চের ওপরে রয়েছে পদ্মা সেতুর অবয়ব। মহাসমাবেশে যোগ দিত গত ১৫ দিন ধরে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ, প্রস্তুত করা হয়েছে মাঠ।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে খুলনা। সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন নেতাকর্মীরা। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’,-এমন স্লোগানে স্লোগানে খুলনা মহানগর এখন মুখরিত। পদ্মাসেতু চালু, খুলনা-মোংলা রেললাইনের উদ্বোধন ও মোংলা বন্দরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পথে পথে স্লোগান দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। ইতিহাসের সাক্ষী হতে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন সাধারণ মানুষও।
এদিকে, সমাবেশকে ঘিরে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সমাবেশস্থলে মাঠে মধ্যে ও মাঠের বাইরে সাদা পোশাকে পুলিশের সদস্যরা থাকবেন। সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে সমাবেশ স্থলের চারপাশে। সমাবেশস্থলে প্রবেশ ও সমাবেশ শেষে নির্বিঘ্নে বেরিয়ে যেতে সহায়তা করবে পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং সূত্রে জানা গেছে, দলীয় জনসভাস্থল থেকে খুলনার ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৫টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন শেখ হাসিনা।
খুলনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে দুপুর পৌনে ১টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করবেন। এরপর দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবেন তিনি। বিকাল পৌনে ৩টায় সার্কিট হাউজ মাঠে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এরপর যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ আয়োজিত খুলনা বিভাগীয় জনসভায়। প্রধানমন্ত্রী দুই হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ২২৩ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।