এবিএনএ : কোভিডের কারণে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থেকে মুটিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। খাচ্ছেন যে খুব বেশি তাও নয়, কিন্তু দিনকে দিন ওজন বেড়েই চলছে! এর কারণ, এখন অফুরন্ত অবসর। খুব বেশি কাজ করতে হচ্ছে না। তার উপর বাসার খাবারে থাকছে উচ্চ প্রোটিন ও ক্যালরি। অতিমারিতে যেখানে শারীরিক ও মানসিক অবসাদ ভর করে থাকে শরীর-মনে সেখানে ব্যায়াম করা তো দিবাস্বপ্ন।
এদিকে ঘরদোরের কাজ করতে করতে কখন বেলা চলে যায় টেরই পাচ্ছেন না। আলাদা করে কাজ সামলে এক্সারসাইজের জন্য সময় বার করাটাই মুশকিল। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে সেরে নেওয়া যেতে পারে কিছু ব্যায়াম। যেগুলো হয়তো আমরা ভাবতেই পারি না যে এগুলোও ব্যায়াম কিংবা শরীরচর্চার বিকল্প হতে পারে!
১.মোড়কজাত গুঁড়া মসলা এবং মসলা বাটার আধুনিক যন্ত্রপাতি দখল করে নিয়েছে শিলপাটার জায়গা। আধুনিক নাগরিক জীবনে শিলপাটার ব্যবহার দিনকে দিন কমছে। যারা নিয়মিত ব্লেন্ডারে মশলা পেষার কাজটি করে থাকেন তারা ব্যায়ামের জন্য শিলপাটার সেই আগের ব্যবহারে ফিরে যেতে পারেন। এতে কিন্তু হাত ও পেটের ভালো ব্যায়াম হয়।
২.ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়া থেকে বিরত থাকুন আপাতত। নিজের কাপড় নিজেই ধুয়ে নিন। এতে শারীরিক পরিশ্রম হবে। ভেজা কাপড় নিঙরানোর ফলে হাতের পেশিতে যে চাপ পড়ে, তা থেকেও হাতের ভালো ব্যায়াম হতে পারে।
৩.ঘরের কাজ করতে করতেই সেরে নিতে পারেন এই ব্যায়ামটা। মাটিতে পড়ে থাকা জিনিস তোলার জন্য ঝুঁকে না পরে উবু হয়ে বসে তুলতে পারেন। এতে পায়ের ও পেটের ব্যায়াম হবে। যতবারই কোনো জিনিস তুলবেন ততবার উবু হয়ে বসে তুলবেন। এতে স্কোয়াটের উপকারিতা পাবেন।
৪.করোনাকালে ঘর মোছা সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। এর জন্য খুব ভালো হয় মাটিতে বসে হাত দিয়ে ঘর মুছলে। এতে হাত, পা ও পেটের পেশিতে চাপ পরে। একান্তই অসুবিধে হলে দাঁড়িয়ে মোছার সরঞ্জাম ব্যবহার করুন, সেক্ষেত্রে হাতের ব্যায়ামটা খুব ভালো হবে।