এবিএনএ : দ্বীপরাষ্ট্র রাষ্ট্র সামোয়াতে তীব্র রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সেখানে গত ৯ই এপ্রিল নির্বাচনে ২২ বছর ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী তুইলাপে সাইলেলে মালিয়েলেগাওয়িকে হারিয়েছেন ফাস্ট পার্টির নেত্রী ফিয়ামি নাওমি মাতাফা (৬৪)। কিন্তু এই পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তুইলাপে সাইলেলে মালিয়েলেগাওয়ি। সোমবার পার্লামেন্টে শপথ নিতে যান ফিয়ামি নাওমি মাতাফা। কিন্তু তার চেম্বার এবং পার্লামেন্টে প্রবেশের দরজায় তালা মেরে দেন তুইলাপে সাইলেলে মালিয়েলেগাওয়ির অনুগত কর্মকর্তারা। ফলে বাধ্য হয়ে পার্লামেন্টের বাইরে অস্থায়ী একটি মঞ্চে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন ফিয়ামি নাওমি মাতাফা (৬৪)। তিনি শপথ নিলেও আইনগত দিক দিয়ে নানারকম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই দ্বীপরাষ্ট্রটি কঠিন রাজনৈতিক সঙ্কটে পড়বে।
উল্লেখ্য, দেশটিতে ২২ বছর ধরে ক্ষমতায় তুইলাপে সাইলেলে মালিয়েলেগাওয়ি। গত ৯ই এপ্রিল সেখানে নির্বাচন হয়। এতে হেরে যান তিনি। কিন্তু পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি নির্বাচনের ফলকে সাংবিধানিক অভ্যুত্থান হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তা সত্ত্বেও সোমবার বিচারকদের সঙ্গে নিয়ে পার্লামেন্ট অধিবেশনে যোগ দিনে যান ফিয়ামি নাওমি মাতাফা। এ সময় তিনি আনুষ্ঠানিক পোশাক পরা ছিলেন। তাদেরকে পার্লামেন্ট চেম্বারে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তুইলাপে সাইলেলে মালিয়েলেগাওয়ির অনুগত কর্মকর্তারা তার চেম্বার বাইরে থেকে তালা মেরে দেন। ফলে ফাস্ট পার্টির এই নেত্রী ও তার দলের নির্বাচিত নেতারা পার্লামেন্ট গার্ডেনে উন্মুক্ত একটি মঞ্চ বেছে নেন। সেখানেই তিনি শপথ নেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। এরপর একে একে তার মন্ত্রীপরিষদের সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। পরে দলীয় এক বিবৃতিতে বলা হয়, সব সময় গণতন্ত্রের বিজয় হবেই। এই মৌলিক নীতির কোনো ব্যতিক্রম হতে পারেনা। যারা এর অন্যথা দাবি করে, তারা আসলে আগুন নিয়ে খেলছে। পক্ষান্তরে ফিয়ামি নাওমি মাতাফা-এর এই শপথ গ্রহণকে অবৈধ ও বেআইনি বলে অভিহিত করেছেন তুইলাপে সাইলেলে মালিয়েলেগাওয়ি। তিনি বলেছেন, আমি হতাশ হয়েছি। হতাশ হয়েছি এ জন্য যে, তাদের কেউই এমনকি কোনো চার্চ মিনিস্টার ওই অবৈধ অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। আমার মনে হয় আমরা সামোয়াতে এমন লোকদের চাই না।