এবিএনএ: পার্লামেন্ট স্থগিত করার বিরুদ্ধে আপিলের রায় দেয়নি বৃটিশ সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার এ বিষয়ে দুটি আপিলের শুনানি শুরু হয়। প্রথম দিনে কোর্ট কোন রায় দেয়নি। ফলে দ্বিতীয় দিনের মতো বুধবার এ নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বৃটেনের সুপ্রিম কোর্টে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এ মাসের শুরুর দিকে পার্লামেন্ট ৫ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন। আগামী ১৪ই অক্টোবর আবার বসবে পার্লামেন্ট। এদিন বরিস জনসনের নতুন পলিসি নিয়ে বক্তব্য রাখার কথা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের।
ওদিকে ৩১ শে অক্টোবরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার শেষ সময়সীমা বৃটেনের কাছে। এর আগে পার্লামেন্ট স্থগিত করাকে মেনে নিতে পারছেন না বিরোধী দলগুলো এবং ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের বিদ্রোহী কিছু সদস্য। তারা বলছেন, ব্রেক্সিট নিয়ে যাতে এমপিরা কিছু বলতে না পারেন সেজন্য পার্লামেন্ট স্থগিত করেছেন জনসন। প্রথম দিনের শুনানিকে ব্যবসায়ী জিনা মিলার ও অন্য একজনের দুটি আপিলের ওপর শুনানি হয়েছে। এদিন তাদের আইনজীবী লর্ড প্যানিক কিউসি আদালতে বলেছেন, ব্রেক্সিটকে সামনে রেখে এমপিদের কণ্ঠকে স্তব্ধ করার জন্যই পার্লামেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। ক্ষমতার এই অপব্যবহার বেআইনি। কিন্তু সরকার পক্ষের আইনজীবী লর্ড কিন কিউসি বলেছেন, নিয়মের মধ্যেই থেকে কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ইস্যুটি আসলে আদালতের বিষয় নয়। এরই মধ্যে ইংলিশ হাই কোর্ট সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে, পার্লামেন্ট স্থগিত করা পুরোপুরি রাজনৈতিক। এতে বিচার বিভাগের কিছু করার নেই। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন ব্যবসায়ী জিনা মিলার। অন্যদিকে এডিনবার্গের কোর্ট অব সেশনের বিচারকদের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে সরকার। কোর্ট অব সেশন বলেছে, জনসন পার্লামেন্ট স্থগিত করেছেন বেআইনিভাবে। তিনি এর মধ্য দিয়ে এমপিদের দূরে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন।