এবিএনএ: ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই কাশ্মীর ইস্যুতে বিরোধিতা জানিয়ে সুর চড়িয়ে আসছে পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা জানিয়ে আগেই আন্তর্জাতিক মহলে সোচ্চার হয়েছে পাকিস্তান। কাশ্মীর ইস্যুতে আবারও জাতিসংঘে সোচ্চার হলো পাকিস্তান। মঙ্গলবার জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্ষদের সভায় কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানাল ইমরান খান সরকার। এদিন সভায় কাশ্মীর পরিস্থিতি প্রসঙ্গে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, কাশ্মীরিদের সুবিচারের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের দরজায় কড়া নাড়ছি আজ।
কুরেশি বলেন, অবিলম্বে যাতে কারফিউ প্রত্যাহার করে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করে, রাজনৈতিক নেতাদের মুক্ত করে মানুষের মৌলিক অধিকার যাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, সেজন্য ভারতকে আবেদন করুক জাতিসংঘ। উল্লেখ্য, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা জানিয়ে আগেই আন্তর্জাতিক মহলে সোচ্চার হয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু ভারত জানিয়েছে, এটা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এর আগে কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের হাই কমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট বলেছেন, ভারত সরকারের পদক্ষেপে আমরা কাশ্মীরিদের মানবাধিকার নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ইন্টারনেট পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের আটক করে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, কাশ্মীরে এই অচলাবস্থা কাটাতে বিশেষত ভারতের কাছে আর্জি রাখছি, যাতে বাসিন্দাদের মানবাধিকার যেন সুরক্ষিত থাকে। যাদের আটক করে রাখা হয়েছে, তাদের অধিকার ফেরানোর কথাও বলেছেন তিনি। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের হাইকমিশনারের মুখে একথা শুনে এ ইস্যুতে পাকিস্তান যে বাড়তি অক্সিজেন পাবে, তেমনটাই মনে করেছিল কূটনৈতিক মহলের একাংশ। শেষ পর্যন্ত এ নিয়ে আবারও সোচ্চার হলো ইমরান খান সরকার।