এবিএনএ : মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতনের ঘটনায় দেশটির সেনাবহিনীর প্রধ্ন ও তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছে ওয়াশিংটন। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান। দেশটির সেনাপ্রধান ও তিন শীর্ষ কর্মকর্তার যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে। বিবৃতিতে মাইক পম্পেও বলেন, দুই বছর আগে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সহিংস আচরণ করেছে মিয়ানমার-এমন প্রমাণ পাওয়ার পরই সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাকি তিন শীর্ষ কর্মকর্তা হলেন-সেনাবাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার ইন চিফ সো উইন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থান ও এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আং আং। এই চারজনের পরিবারের সদস্যরাও যুক্তরাষ্ট্র যেতে পারবেন না।
এদিকে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এ বিষয়ে তাদের তদন্ত এখনও চলছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, এই ঘোষণার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পদক্ষেপ নিল। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা উদ্বিগ্ন যে মিয়ানমার সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের নামে শুরু হয় নিধনযজ্ঞ। জাতিগত নিধনযজ্ঞের ভয়াবহতায় জীবন ও সম্ভ্রম বাঁচাতে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা। আগে থেকে উপস্থিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১০ লাখে।