এবিএনএ : চুমু কেবলমাত্র প্রেম-ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম নয়। এর কিছু স্বাস্থ্যগত বিষয় রয়েছে। বেশি করে চুমু খাওয়ার মাধ্যমে আপনি ও আপনার সঙ্গী থাকতে পারেন সুস্থ ও সবল। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে, শুধু মানসিক বিষয়ই নয়, ব্যাপক মাত্রায় শারীরিক বিষয়ের সঙ্গে জড়িত রয়েছে চুমু।
চলুন জেনে নিই চুমুর আশ্চর্য সব উপকারিতা…
২) বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ রক্তচাপ ও অবসাদের মতো একাধিক সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে চুমু।
৩) ব্রিটেনের ‘নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড কগনিটিভ সায়েন্স-এর বিজ্ঞানীদের দাবি, চুমু খেলে মস্তিষ্কে এন্ডরফিন নামের এক রকম হরমোনের ক্ষরণ হতে থাকে যা শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। চুমু খেলে মাইগ্রেনের মতো মারাত্মক যন্ত্রণাও সহজেই কমে যেতে পারে।
৪) চুমুর সময় মস্তিষ্কে ডোপামিন আর সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ হতে থাকে, যা অবসাদ ও দুশ্চিন্তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।
৫) চুমুর সময় আইজিই অ্যান্টিবডি হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, হিস্টারিন হরমোনের ক্ষরণও কমে যায়। ফলে অ্যালার্জির প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৬) একটি সমীক্ষার পর মার্কিন বিজ্ঞানীরা দাবি করেন, যারা নিয়মিত অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে চুমু খান, তাদের প্রতি মিনিটে প্রায় ২ থেকে ৩ কিলোগ্রাম ক্যালোরি বার্ন হয়।
৭) চুমুর সময় মুখের ৩৪টি পেশি এবং ১১২টি পসট্রুয়াল পেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে ফেসিয়াল পালসি ও মাসকুলার ডিসটোনিয়ার মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে।
৮) মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও চুমু অত্যন্ত কার্যকরী! চুমুর সময় মুখের ভেতরে প্রচুর পরিমাণে লালা নিঃসরণ হয়। একই সঙ্গে মুখের ভেতরে নানা রকম উৎসেচক ক্ষরিত হয়।