এবিএনএ: ডেটিংয়ের ক্ষেত্রে নারীরা সাধারণত লম্বা পুরুষদের পছন্দ করলেও উচ্চতায় যারা খাটো তাদের সঙ্গে ডেটিংই বেশি লাভজনক। এমন তথ্য জানা গেছে এক গবেষণায়। গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, যেসব পুরুষ খর্বকায় হয়, তারা জানেন নিজেকে কীভাবে মেলে ধরতে হয়। সাধারণত এরা সম্পর্ক নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন না। স্বাভাবিকভাবেই সম্পর্কে পজেসিভনেস অনেক কম থাকে। সঙ্গী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কখনোই উচ্চতার কথা ভাবেন না এরা। এছাড়া খর্বাকৃতি পুরুষরা খোলা মনের হয়। নিজের চেয়ে খাটো কারও সঙ্গেই ডেট করতে হবে, এমন অযৌক্তিক গোঁড়ামিকে এরা প্রশ্রয় দেয় না।
সচরাচর কম উচ্চতার পুরুষরা বিশ্বস্ত সঙ্গী হয়। এক জরিপে দেখা গেছে, একজন বেঁটে পুরুষ কোনো নারীকে যতবার ঠকায়, একজন ঠিকঠাক উচ্চতা সম্পন্ন পুরুষ তার দ্বিগুণ ঠকায়। ৫ ফুট ১০ ইঞ্চির বেশি যেসব পুরুষের উচ্চতা, তাদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি।
প্রেমের জন্যও কিন্তু খর্বাকৃতি পুরুষ আদর্শ। কেমন লাগবে যদি চোখের সামনে কারও ঘাড় বা কাঁধ থাকে? আই-টু-আই কনট্যাক্ট তখনই হবে যদি সে আপনার সমান উচ্চতার হয়। নারীদের উচ্চতা সাধারণ ৫ ফুট ১০ ইঞ্চির বেশি হয় না। তাই এই উচ্চতার কোনও পুরুষের সঙ্গে ডেট করলে সরাসরি চোখে চোখ রেখে প্রেম করা যায়। এতে রোম্যান্স হয় আরও রোমান্টিক।
সমীক্ষা বলছে, লম্বা পুরুষ খাটো পুরুষের তুলনায় তাড়াতাড়ি বিয়ে করে। কিন্তু একটা বিষয় এক্ষেত্রে ইন্টারেস্টিং। তাদের সম্পর্কও তাড়াতাড়ি ভাঙে। সমীক্ষায় দেখা গেছে বেঁটে পুরুষের ডিভোর্সের হার অনেক কম। অপেক্ষাকৃত লম্বা পুরুষদের ডিভোর্স হয় বেশি।
অনেক নারীই ভাবেন বেঁটে পুরুষকে বিয়ে করার মানেই চিরকালের জন্য হাইহিলকে টা-টা বলতে হবে। একথা একেবারে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার মতো নয়। কিন্তু ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখুন, আপনার পায়ের জন্য কিন্তু হিল খুব খারাপ। তার চেয়ে স্লিপার্স বা সাধারণ জুতো পরা অনেক বেশি ভালো। ফ্যাশন যে এতে হয় না, তা তো নয়। বরং এটা মাথায় রাখুন, খর্বকায় ছেলেদের বিয়ে করার কত সুবিধা রয়েছে। পুরনো ধ্যান ধারণা থেকে বেরিয়ে একটু বাস্তবসম্মতভাবে ভাবলে কিন্তু আপনারই লাভ।