এবিএনএ: উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন এমন একটি অবস্থা যখন রক্তনালীর বেষ্টনীর বিরুদ্ধে রক্তের চাপ খুব বেশি হয়। ফলে হৃদযন্ত্র এবং রক্তনালীকে বাড়তি কাজ করতে হয়। এতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপে চোখের সমস্যা, ধমনী ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত, যৌন সমস্যা বা দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রোক হতে পারে। ভারতের ন্যাশনাল হার্ট, লাঞ্জ অ্যান্ড ব্লাড ইনস্টিটিউটের মতে, হাইপারটেনশন ধরা হয় যখন তা থাকে ১৪০ এমএম এইচজি (মিলিমিটারস অব মারকারি)-থাকে। যদিও, আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর পরামর্শ হলো, হাইপারটেনশন তখনই ঘটে যখন হৃদ-সংকোচন বা রক্তচাপ থাকে ১৩০ এমএম এইচজি বা তার ওপরে।
উচ্চ রক্তচাপ কখন গুরুতর?
ভারতের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সমীর গুপ্ত বলেন, যদি ধারাবাহিকভাবে হৃদ-সংকোচন বা সিস্টোলিক রক্ত চাপ ১৪০ এমএম এইচজি ও ৯০ এমএম এইচজি থাকে তবে তা উচ্চ রক্তচাপ এবং এটি যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ।
যদি আপনি মনে করেন আপনি খুটিনাটি বিষয়ে রেগে যাচ্ছেন বা খুব বেশি চাপ বোধ করছেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনার রক্তচাপ উচ্চ হতে চলেছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে আপনি উচ্চ রক্তচাপ ভুগছেন। এ ক্ষেত্রে অস্বস্তি বোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়লেই বিশ্রামে থাকুন এবং শান্তিপূর্ণ মেজাজে থাকার চেষ্টা করুন। আর মাঝে মাঝে রক্তচাপ পরীক্ষা করা জরুরি। তবে চিকিৎসকরা একটি ব্যাপারে একমত যে, উচ্চ রক্তচাপে ইতিবাচক কোনো দিক নেই। উচ্চ রক্তচাপ প্রায় সবসময়ই খারাপ। ফলে যথাসময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তাঁর নির্দেশনা মেনে চলার চেষ্টা করুন।