এবিএনএ: আর্থিক সংকটের মধ্যে ক্যারিয়ার পাকাপোক্ত করতে কোনো ধরনের বিনিয়োগ করতে চায় না বেশিরভাগ মানুষ। তবে ক্যারিয়ার আরো উজ্জ্বল করতে টাকা ও সময় বিনিয়োগ করে নতুন কোনো কোর্স করা বা কিছু জানা অনেক সময় দারুণ ফল বয়ে আনে।
ক্যারিয়ারে বিনিয়োগ করার একটি প্রধান মাধ্যম হলো শিক্ষা। তবে এ জন্য আবার আপনাকে স্কুল জীবনে ফিরে যেতে হবে না। বরং আপনার জানার জগৎটাকে আরো বাড়াতে হবে।
ডিগ্রি নিন : ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্ভব হলে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করুন। এটা বর্তমান চাকরিবাজারে নূন্যতম যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়। পারলে এমবিএ অথবা পিএইচডি করলে ক্যারিয়ারে তা ভালো ফল নিয়ে আসবে। এতে করে হয়তো প্রমোশন হবে আপনার। নইলে অন্য কোনো কোম্পানিতে আরো ভালো চাকরি পাবেন আপনি। ক্যারিয়ারের মাঝামাঝি সময়ে কাজের ব্যস্ততায় বা আর্থিক সংকটের কারণে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। তবে মনে রাখতে হবে, এই ডিগ্রি আপনার জন্য সুফলই বয়ে আনবে।
সার্টিফিকেট নিন : শুধু উচ্চতর ডিগ্রিই যথেষ্ট নয়। ভালো চাকরির জন্য প্রাসঙ্গিক ভাবে সার্টিফিকেটেরও প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন টেকনিক্যাল কাজে, প্রজেক্টে বা হিউম্যান রিসোর্সের চাকরিতে সার্টিফিকেটের মূল্য অনেক। কম্পিউটারের বিভিন্ন কোর্স ও ইংলিশ স্পোকেন কোর্সের ব্যাপারে অগ্রাধিকার দিন। এসব সার্টিফিকেট আপনাকে প্রতিযোগিতায় অবশ্যই এগিয়ে রাখবে। এ ধরনের সার্টিফিকেট অল্প সময়ে পাওয়া যেতে পারে। টাকাও হয়তো বেশি খরচ হবে না।
আনুসঙ্গিক দক্ষতা অর্জন : শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বা যোগ্যতা হলেও অনেক সময় ক্যারিয়ারে পূর্ণতা আসে না। আপনাকে আনুষঙ্গিক কিছু দক্ষতাও বাড়িয়ে নিতে হবে। যেমন: আপনি যদি চট্টগ্রাম বা সিলেটে চাকরির খাতিরে বদলী হন, তাহলে সেখানকার ভাষা বোঝার চেষ্টা করতে হবে আপনাকে, যা পেশাগত গুরুত্ব রাখে বেশ। যদি দেশের বাইরে যেমন: রাশিয়া, জার্মানি, চীন বা জাপানে যেতে হয় চাকরি সূত্রে, তাহলে সেখানকার ভাষাও যথাসম্ভব রপ্ত করতে হবে আপনাকে। আর সর্বোপরি এখন বিশ্বায়নের যুগে ইংরেজি জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই সময় করে ইংরেজি সংবাদ দেখুন, ইংরেজী পত্রিকা পড়ুন। অন্যদের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলুন। এতে আপনার ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়বে।
অনলাইনে নিজের ব্র্যান্ড গড়ে তুলুন : ইন্টারনেট যেহেতু এখন বিশাল একটি যোগাযোগ ক্ষেত্র তৈরি করে দিচ্ছে, তাই অনলাইনে নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করুন। সম্ভব হলে নিজের ডোমেইন নেম এবং ওয়েবপেজ গড়ে তুলে সেখানে আপনার বিস্তারিত সব কিছু জানান। ফেসবুক সহ বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে নিজের উপস্থিতি জোরালো করুন। খেয়াল রাখুন যেন সম্ভাব্য নিয়োগদাতারা আপনার সম্পর্কে সঠিক ও প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জানতে পারেন।
ক্যারিয়ার কোচ বা পরামর্শদাতা খুঁজুন : ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় একজন পরামর্শকের সহায়তা প্রয়োজন আপনার। এক্ষেত্রে পেশাদারী মানসিকতা নিয়ে কোনো নামকরা ক্যারিয়ার কোচের শরনাপন্ন হতে পারেন আপনি। এছাড়া যদি আর্থিক সঙ্গতি না থাকে, তাহলে পরিচিতদের মাঝে সফল কাউকে আপনার পরার্শক হিসেবে বেছে নিতে পারেন।