এবিএনএ: বাগেরহাটের হাকিমপুরের শিকদার বাড়িতে ৭০১ প্রতিমা নিয়ে এশিয়ার বৃহত্তম দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া পূজাকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। দুর্গাপূজাকে ঘিরে বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর শিকদার বাড়িতে করা হয়েছে জমকালো আয়োজন। ব্যবস্থা করা হয়েছে আধুনিক লাইটিং ও সাউন্ড সিস্টেম। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে পুকুরে স্থাপন করা হয়েছে ৪০ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন লক্ষ্মী-নারায়ণ। গত ছয় মাস ধরে ১৫ জন প্রতিমা শিল্পী রাত-দিন পরিশ্রম করে তৈরি করেছেন ৭০১টি প্রতিমা। মণ্ডপের দু’পাশে নানা পশরা সাজিয়ে বসেছেন শতাধিক দোকানি। বৃহত্তম এ পূজা মণ্ডপ দেখতে এরই মধ্যে ভিড় করছে ভক্ত ও দর্শণার্থীরা। ৪৮টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে মন্দির ও এর আশেপাশের এলাকা। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও রাখা হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শতাধিক পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। দর্শণার্থী প্রবীর মজুমদার বলেন, প্রতিবছর শিকদার বাড়িতে পূজা দেখতে আসি। কিন্তু প্রচুর ভিড় থাকায় ভালো করে দেখার সুযোগ হয়না। তাই এবার আগেই এসেছি।
দেশের বৃহত্তম এ আয়োজনের প্রধান প্রতিমা শিল্পী (ভাস্কর) বিজয় কৃষ্ণ বাছাড় বলেন, গত ছয় মাস ধরে ১৫ জন শ্রমিক নিয়ে রাত-দিন কাজ করে ৭০১ প্রতিমা তৈরি করেছি। আশা করছি গত বছরের থেকে এবছর দর্শণার্থীরা আরও বেশি আনন্দ পাবেন। আয়োজক লিটন শিকদার বলেন, আট বছর আগে বাবার ইচ্ছা পূরণে বাড়িতে দুর্গা পূজার আয়োজন করি। অষ্টম বারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বেশি প্রতিমা নিয়ে আমাদের এ মন্দিরে দুর্গাপূজার আয়োজন। এ বছর ৭০১টি প্রতিমা নিয়ে আমাদের এ আয়োজন। এসপি পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজাকে নিরুদ্রপ করতে আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। বৃহত্তম এই মন্ডপের নিরাপত্তার জন্য দু’ধরনের মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করা হবে। শতাধিক পুলিশ সদস্য ছাড়াও আনসার এবং স্বেচ্ছাসেবকরা নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত থাকবে। ফকিরহাট থানার ওসি বলেন, মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষেরা যাতে তাদের ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারে সে ব্যাপারে সব ধরণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।