এ বি এন এ : যুক্তরাষ্ট্রের কতো ডলারের ট্রেজারি বন্ড সৌদি আরবের হাতে আছে, সেই তথ্য ওয়াশিংটন প্রকাশ করেছে চার দশক গোপন রাখার পর।
সিএনএন মানির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১১৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের ট্রেজারি বন্ড রয়েছে সৌদি আরবের হাতে। এ দিক দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বন্ড ক্রেতাদের মধ্যে ত্রয়োদশ অবস্থানে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বন্ডে এক ট্রিলিয়নের বেশি বিনিয়োগ রয়েছে চীন ও জাপানের।
সিএনএন মানি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের বন্ডের বড় ক্রেতাদের অধিকাংশের তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করলেও সত্তরের দশক থেকে সৌদি আরবের কেনা বন্ডের পরিমাণ আলাদাভাবে প্রকাশ করা হতো না।
ভেনেজুয়েলা ও ইরাকসহ তেল রপ্তানিকারক ১৪টি দেশের একটি গ্রুপে সম্মিলিতভাবে তাদের ওই বিনিয়োগ দেখানো হত।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট গত সোমবার দেশগুলোর বিনিয়োগের পরিমাণ আলাদাভাবে প্রকাশ করলে সেই গোপনীয়তার সমাপ্তি ঘটে।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বেশি হয়ে থাকতে পারে বলে সিএনএন মানি ধারণা দিয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মার্চ মাসে যে হিসাব প্রকাশ করেছে তাতে ৫৮৭ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ থাকার কথা বলা হয়েছে। অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকই যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভে তাদের রিজার্ভ সঞ্চিত রাখে। এমনও হতে পারে সেই টাকার হিসাব বন্ডের সঙ্গে যোগ করা হয়নি।
তেলের দাম কমার ধাক্কা সামালাতে সৌদি আরবকে ২০১৪ সালের শেষ থেকে তাদের রিজার্ভের ১৩০ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হয়েছে। ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বলছে,যুক্তরাষ্ট্রের বন্ডে সৌদি আরবের বিনিয়োগের পরিমাণ ১২৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার থেকে গত জানুয়ারিতে ১১৬ দশমিক ৮ বিলিয়নে নেমে আসে।
নতুন ট্রেজারি প্রতিবেদনে আরেক বিস্ময় হয়ে এসেছে ৬০ হাজারেরও কম জনসংখ্যার দেশ কেম্যান আইল্যান্ডস। ২৬৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন ট্রেজারি বন্ড নিয়ে তারা আছে শীর্ষ ট্রেজারি বন্ড মালিক দেশের তালিকার তিন নম্বরে।
বিশ্বের অন্যতম ‘করস্বর্গ’ হিসেবে পরিচিত এই দেশে ব্যবসা করতে করপোরেট ট্যাক্স দিতে হয় না। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে সেখানে প্রায় বিনা করে বিনিয়োগ করার সুযোগ দেওয়া হয় বলে সিএনএন মানির তথ্য।
কেম্যান আইল্যান্ডসের মতো আরেক ‘করস্বর্গ’ বারমুডার হাতেও ৬৩ বিলিয়ন ডলারের মার্কি ট্রেজারি বন্ড রয়েছে।
এ দুটো দেশের বিনিয়োগের পরিমাণও আগে ক্যারিবীয় দেশগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে দেখানো হতো।