এবিএনএ : মেয়েদের শরীরে মেদ বা চর্বি সহজেই জমে এবং তা দৃষ্টিকটুও বটে। বিশেষ করে ৩০-৩২ বছর বয়সে মেয়েদের শরীরে স্বাভাবিকভাবেই মেদ জমাট বাঁধে। এই মেদ প্রথমত প্রকট হয়ে দেখা দেয় পেটে। এটি যে শুধু সৌন্দর্যহানি করে তা নয়, শরীরে যে বিভিন্ন অসুখ বাসা বাঁধছে তাও নির্দেশ করে। নারীদের ক্ষেত্রে ৩৫ দশমিক ৫ ইঞ্চির বেশি পেটের সাইজ থাকলে হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস হতে পারে। পেটের মেদ আর শরীরের অন্য অংশের মেদকে এক জিনিস ভাবলে ভুল করবেন। পেটের মেদের সঙ্গে যেহেতু লিভার, কিডনি ও অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গ লেগে থাকে, সেহেতু পেটের মেদ আপনার জন্য অনেক বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। স্বাস্থ্যসম্মতভাবে স্লিম থাকার সাতটি উপায় দেওয়া হলো-
পেটের মেদ কমাতে শ্বাস-প্রশ্বাস
কোনো পরিশ্রম ছাড়া আমরা যে কাজটি করতে পারি তা হলো সঠিক নিয়মে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া। বেশিরভাগ মানুষই হয় দ্রুত, না হয় অনেকক্ষণ পরপর শ্বাস গ্রহণ করে। যদি এটি একটা ছন্দে করা যায়, অর্থাৎ আস্তে আস্তে শ্বাস গ্রহণ ও নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পেটের খুব ভালো একটা ব্যায়াম।
পেটের ব্যায়াম
ওঠা-বসার ব্যায়াম পেটের জন্য নয়। চিৎ হয়ে শুয়ে থেকে, মাটি থেকে পা সোজা করে ১৫ ডিগ্রি ওপরে ১৫ সেকেন্ড তুলে রাখুন। এভাবে দিনে পাঁচবার করুন। অভ্যস্ত হলে ১০ থেকে ১৫ বার করুন।
পেটের মেদ কমাতে আমিষ
প্রচুর আমিষসমৃদ্ধ খাবার যেমন- মাছ, ডাল ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে খান। প্রোটিন শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায় ও চর্বি পোড়ায়। তবে প্রোটিনের সঙ্গে চর্বি যাতে শরীরে ঢুকে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
ফ্যাট থেকে দূরে থাকুন
চর্বি জাতীয় খাবার থেকে সবসময় দূরে থাকুন। মাছের তেল, সূর্যমুখীর তেল শরীরের জন্য ভালো। মার্জারিন, মেয়োনেজ, কলিজা, মগজে রয়েছে প্রচুর চর্বি। এগুলো থেকে দূরে থাকুন।
পেটের মেদ কমাতে শর্করা জাতীয় খাবার কম খান
তালিকা থেকে যথাসম্ভব চিনি দূরে রাখুন। চিনির বদলে সুক্রোলোজ (যা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সুগার ফ্রি নামে পাওয়া যায়) ব্যবহার করুন। এমনকি মধু হলেও তা পরিমিতভাবে সেবন করুন। ভাত খাবেন মেপে মেপে। যারা ভাত বেশি খান তাদের ট্রাইজ্ঞ্নিসারাইড বেড়ে গিয়ে পেটে তো বটেই, উপরন্ত লিভারে চর্বি হিসেবে জমা হয়।
সালাদ সবজিতে পেট ভরুন
টমেটো, মুলা, বিট, ক্যাপসিকাম, লেটুসসমৃদ্ধ সবজির সালাদ ও শাক সহকারে লাঞ্চ বা ডিনার সেরে ফেলুন। পানি খাবেন পরিমিত। তবে যারা বাত আর কিডনির রোগী, তাদের সবজি আহরণে সংযত হতে হবে।
পেটের মেদ কমাতে ঘুম
যদি রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস থাকে, তাহলে আরেকবার ভাবুন। কারণ অসময়ের ঘুম শরীরের জৈবিক ছন্দ নষ্ট করে দেয়। এর ফলে আপনার শরীরে খাদ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। পেটে চর্বি জমার প্রবণতা প্রায় ৫ গুণ বৃদ্ধি পায়।