এবিএনএ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিলো। সেটা ছিলো ষড়যন্ত্র। খন্দকার মোশতাক তখন প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন আর জিয়াউর রহমানকে করা হয়েছিলো সেনাবাহিনী প্রধান। দুজনের মধ্যে কতটা ভালো সম্পর্ক থাকলে এটা হয় তা সহজেই অনুমেয়। তিনি বলেন, যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি, হানাদারদের দোসর ছিলো তারাই ৭৫ এর পর ক্ষমতায় এসেছিলো। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের তারা বিভিন্ন্ দেশের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ কেউ বলতে চেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর একক নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়নি। তারা কি ইয়াহিয়ার বক্তব্য পড়েননি? ইয়াহিয়া ওইসময় শুধু বঙ্গবন্ধুকে দায়ি করেছিলেন। আর কাউকে নয়। বঙ্গবন্ধু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তাই যারা এখন বলছেন তার একক নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়নি তাদেরকে ইয়াহিয়ার বক্তব্য পড়ে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি। ১৫ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। ১৫ই আগষ্টের স্মৃতিচারন করে শেখ হাসিনা বলেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন খুনিদের দিয়ে প্রগতিশীল রাজনীতি করার চেষ্টা করেছিলেন। ইত্তেফাকে বসে তিনি তাদের দিয়ে রাজনীতি করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচএম এরশাদ খুনিদের দিয়ে ফ্রিডম পার্টি গঠন করেছিলেন। তিনি বলেন, আজ সবাই সোচ্চার বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার চাইতে। কিন্তু যারা খুনিদের পুরস্কৃত করেছে তাদের প্রতি জাতির কি কোন ঘৃণা থাকবে না, তারাই কি ক্ষমতায় যাবে? আমার প্রশ্ন কেন? বাবা মারা যাওয়ার পর আমি তো বিচার চাইতে পারিনি। আমার বিচার চাওয়ার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিলো ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে।