এবিএনএ : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান না থাকলেও পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যৌথ আলোচনায় দেখা গেছে, দেশে সাইবার অপরাধের শিকার মানুষের বড় অংশটি অল্পবয়সী মেয়েরা। এতে নারীদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিই বেশি।’
সিসিএ এর নিয়ন্ত্রক আবুল মানসুর মোহাম্মদ সারফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো- উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম ওয়াহিদুজ্জামান এবং ফোর ডি কমিউনিকেশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ আল ইমরান।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিসিএ এর উপনিয়ন্ত্রক আবদুল্লাহ মাহমুদ ফারুক। শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি জানান, এই কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী আট বিভাগের ৪০টি স্কুল ও কলেজের প্রায় ১০ হাজার ছাত্রীকে সচেতন করার লক্ষ্যে কর্মশালার আয়োজন করা হবে। সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন কন্ট্রোলার অফ সার্টিফায়িং অথোরিটিজ ( সিসিএ) এই কর্মশালার আয়োজন করেছে।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘অল্প বয়সী মেয়েরা যখন কেউ সাইবার অপরাধের শিকার হয়, অনেক সময় তারা বুঝতে পারে না কী করবে, কাকে জানাবে। অনেকে আদৌ কাউকে জানায়ও না। নীরবে হয়রানির শিকার হতে থাকে। এসব হয়রানি ঠেকাতে এবং সাইবার অপরাধের শিকার হলে করণীয় সম্পর্কে সচেতন করতেই স্কুলছাত্রীদের প্রশিক্ষণের উদ্যাগ নেয়া হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই কর্মশালা থেকে পাওয়া তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আগামীতে সাইবার অপরাধ মোকাবেলায় আরও বেশি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত জুনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সোসাইটির উদ্যোগে ঢাবির পাঁচটি ছাত্রী হলে দুই হাজার একশ ছাত্রীর মধ্যে একটি জরিপ পরিচালনা করা হয়। এতে দেখা যায় প্রায় ৭৭ শতাংশ নারী ইন্টারনেটে ফেসবুককেন্দ্রিক বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। আর ১২ শতাংশ শিকার হচ্ছে পাসওয়ার্ড হ্যাকিংয়ের। ৪ শতাংশ ইমেইল এবং এসএমএম হুমকি, ২ শতাংশ সাইবার পর্নোগ্রাফি এবং ৫ শতাংশ আইডিন্টিটি থেফটের শিকার হচ্ছে।
Share this content: