এবিএনএ : একমাত্র টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখন ভারতে অবস্থান করছে। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ঢাকা ছাড়ার আগের দিন বুধবার মুশফিকুর রহিম এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, আমার কাছে এটা (ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ) আর দশটা ম্যাচের মতোই। ঐতিহাসিক বলে কিছু মনে হয় না। ভারতের বিপক্ষে খেললে কোনো চাপ থাকে না। যেমনটা থাকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। কেন না জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারলে অনেক ব্যাপার থাকে।
মুশফিকের এই বক্তব্যকে ভারতের ট্যাবলয়েড এবেলা উস্কে দিয়েছে। ‘ভারতকে চরম অসম্মান করলেন মুশফিকুর, শুনলে রাগে গা জ্বলে উঠবে’ এই শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করেছে তারা। তাদের খবরে বলা হয়েছে, মাঠে বল গড়ানোর আগেই উত্তাপ বেড়ে গেল। মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে ৯ তারিখের একমাত্র টেস্ট খেলতে কলকাতায় পা রেখেছে বাংলাদেশ। কলকাতায় পা দিয়েই মুশফিকুর রহিম জানিয়ে দিলেন, ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ মোটেই ঐতিহাসিক নয়। তারা বরং জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে খেলতে কিছুটা ভয়ে থাকেন। এর আগেও ভারতের বিরুদ্ধে টুইট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। গত বছর টি ২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারত হেরে যাওয়ার পর রীতিমতো টুইট-সেলিব্রেশনে মেতেছিলেন তিনি। বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার পর টুইট ডিলিটও করে দিয়েছিলেন মুশফিকুর।
ভারতের মিডিয়া টুইট নিয়ে এমন খবর প্রচার করলেও মুশফিক নিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের ভক্ত বলেই বিশ্বকাপের পর ওই টুইট করেছিলেন।
এমন টুইট ভারতের অনেক ক্রিকেটারই বাংলাদেশকে নিয়ে করেছে। এবেলা তাদের খবরে লিখেছে, এবারে অবশ্য ঔদ্ধত্যের মাত্রা আরও সীমা ছাড়িয়েছে। ২৯ বছরের বাংলাদেশী উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান চোটের কারণে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টেস্টে খেলতে পারেননি। তিনি দলগত পারফরম্যান্সেই ভারত-বধ করার স্বপ্ন দেখছেন। তবে ভারতকে হুমকি দিতে তিনি ছাড়ছেন না। রীতিমতো কলার তুলে মুশফিকের বক্তব্য, ‘ভারতে আমরা গোটা বিশ্বকে দেখাতে চাই আমরা কী করতে সক্ষম! ওদের বিরুদ্ধে এমনভাবে খেলতে চাই যাতে ভবিষ্যতে ভারত আমাদের বারবার খেলার আমন্ত্রণ জানায়।’ সব শেষে ট্যাবলয়েডটি লিখেছে, বিরাট কোহলি, অশ্বিনরা মুশফিকুরদের ঔদ্ধত্যের যোগ্য জবাব দিতে পারেন কি না, সেটাই আপাতত দেখার।