এবিএনএ: ইসরাইলের গাজা অবরোধ এবং পরিকল্পিত স্থল আক্রমণের মধ্যেই কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেনের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। সেখানে আমির গাজা উপত্যকায় উত্তেজনা হ্রাসের গুরুত্ব তুলে ধরেন। শুক্রবার ইসরাইল-ফিলিস্তিনের সঙ্কট নিয়ে বৈঠক করেন তারা। খবর ডেইলি সাবাহর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুজন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে ফিলিস্তিন অঞ্চলের উন্নয়ন এবং তাদের মানবিক পরিস্থিতি নিয়েও সেখানে আলোচনা হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কাতারের আমির গাজায় সাহায্য ও মানবিক সাহায্যর জন্য নিরাপদ করিডোর খোলার ওপর জোর দিয়েছেন। সংঘাত আঞ্চলিকভাবে প্রসারিত না হয় সে বিষয়ে ব্লিংকেনের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি দেশটির বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তু করার নিন্দায় দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামাস এবং ইসরাইলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্ভাব্য বন্দি বিনিময়সহ মধ্যস্থতার আলোচনায় জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে গত শনিবার রাত থেকেই আলোচনা শুরু হয়েছে, সেটি এখনো চলমান। আলোচনা এখন পর্যন্ত ‘ইতিবাচকভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে’। এদিকে হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, হামাসের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। তারা এখন ইসরাইলের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি আছেন।
হামাস নেতা মুসা আবু মারজুক আল জাজিরাকে ফোনে জানান, যুদ্ধবিরতি বা এ ধরনের কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং যে কোনো রাজনৈতিক সংলাপের জন্য হামাস রাজি। গাজার এই সশস্ত্র গ্রুপটি ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে যেতে রাজি কিনা এমন প্রশ্নে মুসা আবু মারজুক এসব কথা বলেন। এই হামাস নেতা আরও বলেন, ইসরাইল থেকে দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে এমন দশজনকে আটক করে এনেছে হামাস। এর মধ্যে রাশিয়া এবং চীনের নাগরিকও রয়েছেন।