বিএনএ : আমাদের অনেকেই ঢ্যাঁড়স খেতে পছন্দ করেন। তবে বিশেষ করে বাচ্চারা এটি তেমন পছন্দ করেনা। জোর করে না খাওয়ালে বাচ্চাদের ঢ্যাঁড়স খাওয়ানো যায় না। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না, ঢ্যাঁড়স আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতোটা জরুরী! নিয়মিত ঢ্যাঁড়স খাওয়ার অভ্যাস আমাদের প্রায় ১০ ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে দূরে রাখবে।
১. ঢ্যাঁড়সের ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। তাই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খাদ্যতালিকায় রাখুন ঢ্যাঁড়স।
২. ঢ্যাঁড়সে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’, লুটেইন ও বিটাক্যারোটিন, যা আমাদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
৩. ঢ্যাঁড়সে রয়েছে স্যলুবল ফাইবার যা দেহের খারাপ কোলেস্টরল কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী। এতে করে কার্ডিওভ্যাস্কুলার সমস্যা ও হৃৎপিণ্ডের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৪. ঢ্যাঁড়স দেহে লোহিত রক্ত কণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে। এতে করে অ্যানিমিয়া অর্থাৎ রক্তস্বল্পতা দূর করে। অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে নিয়মিত ঢ্যাঁড়স খাওয়া উচিত।
৫. ঢ্যাঁড়সের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের মিউটেশন প্রতিরোধ করে। দেহে ক্যান্সারের কোষ জন্মাতে পারে না। নিয়মিত ঢ্যাঁড়স খাওয়ার অভ্যাস ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে।
৬. ঢ্যাঁড়সের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফোলায়েট যা হাড়ের গঠন মজবুত করে এবং হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৭. ঢ্যাঁড়সের ভিটামিন ‘সি’ ও ‘এ’ অ্যাজমার প্রকোপ কমায় এবং অ্যাজমা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
৮. ঢ্যাঁড়সে ইনসুলিনের মতো উপাদান রয়েছে যা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে করে ডায়বেটিসের সমস্যা দূরে থাকে।
৯. ঢ্যাঁড়সের ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’ দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে করে নানা ধরনের ছোটোখাটো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ দূর করা যায়।
১০. গর্ভধারণের নানা সমস্যা ও গর্ভকালীন ফেটুসের নিউরাল টিউব ডিফেক্ট দূর করতে ঢ্যাঁড়স কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।