এবিএনএ : দেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে হিসেবে ১০ আগস্ট (শনিবার) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।পরদিন ১১ আগস্ট (রবিবার) সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। এ অনুযায়ী ১২ আগস্ট (সোমবার) বাংলাদেশসহ উপমহাদেশীয় অঞ্চলে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হবে।
শুক্রবার (০২ আগস্ট) সন্ধ্যায় প্রথমে খুলনায় হিজরি সনের শেষ ও হজের মাস জিলহজের চাঁদ দেখা যায় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. হেলাল হোসেন।
তিনি বলেন, সন্ধ্যায় জেলা স্টেডিয়াম এলাকা থেকে আমরা আকাশে জিলহজের চাঁদ দেখতে পাই।
এদিকে, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করে চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) সৌদি আরবের তুমাইর এলাকায় জিলহজ মাসের চাদঁ দেখা যায় বলে জানায় দেশটির চাঁদ দেখা কমিটি। তাই সেখানে শুক্রবার থেকে জিলহজ মাসের গণনা শুরু হয়েছে। এর ফলে ৮ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এ দিন সন্ধ্যার পরপরই মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশে রওনা হবেন হাজিরা।
শুক্রবার (০৯ আগস্ট) সারাদিন মিনায় অবস্থান করে সে দিন রাতে আরাফাতের ময়দানের দিকে যাত্রা করবেন তারা। পরদিন আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুৎবা দেওয়া হবে।
হজের খুৎবা শেষে সেখানে জোহর ও আসরের নামাজ পড়বেন হাজিরা। সে দিন সূর্যাস্তের পর আরাফাত থেকে মুজদালিফায় যাবেন। সেখানে গিয়ে তারা মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে সারারাত অবস্থানের পর শয়তানের প্রতীকী স্তম্ভে পাথর নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুতি নেবেন বিভিন্ন দেশ থেকে হজ সফরে যাওয়া বিভিন্ন দেশের হজযাত্রীরা। রোববার ফজরের নামাজ শেষে বড় জামারায় (প্রতীকী বড় শয়তান) পাথর নিক্ষেপ করতে মিনায় যাবেন তারা। পাথর নিক্ষেপ শেষে পশু কোরবানি দেবেন তারা।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে হজ করতে সৌদি আরবে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন যাওয়ার কথা। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাত হাজার ১৯৮ ব্যালটি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৬ হাজার ৪০১ নন-ব্যালটি হজ করতে যাচ্ছেন। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২৫ লাখ হজ পালনার্থীর সৌদি আরবে পৌঁছার কথা।