এবিএনএ: সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হওয়ার পর যারা বরিশাল সমুদ্র উপকূলে দস্যুপনা করছে তাদের কঠোর বার্তা দিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম দস্যুপনা ছেড়ে সবাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন। এরপরও দেখেছি কিছুদিন আগে বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। দস্যুরা মনে করছে, র্যাব যে বয়ান দিয়ে গেছে শুনলাম, এরপর চলে আসলাম, কাল থেকে শেষ।’ ‘তাদের বলছি, আমরা যেটা বলি সেটা কিন্তু করি। আপনারা দস্যুপনা করবেন না, করলেই কিন্তু বিপদ। আমরা হোমিওপ্যাথি দিয়েছি মনে করেন না অ্যালোপ্যাথি বন্ধ করেছি। অ্যালোপ্যাথি কিন্তু পকেটে আছে। যেখানে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমরা সেই ব্যবস্থা নেবো।’
রোববার (১২ ডিসেম্বর) বরগুনার পাথরঘাটা লঞ্চঘাট পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন র্যাব মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। এরপরও দু-একজন দস্যু চেষ্টা করেছে তাদের কর্মকাণ্ড চালাতে। কিন্তু আমরা তাদের আইনগতভাবে কঠোরভাবে মোকাবিলা করেছি। যেসব ডাকাত-দস্যু আত্মসমর্পণ করেছে, গত মাসেও আমরা তাদের ঘর দিয়েছি, দোকান দিয়েছি, গরু ও জালসহ নৌকা দিয়েছি। সবই করেছি আমাদের অর্থায়নে। সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে এসব করেছি। কারণ তারা যাতে সমাজের মূলধারায় ফিরে আসতে পারে।’
যারা দস্যুতা ছেড়ে এখনো আত্মসমর্পণ করেননি তাদের সতর্ক করে র্যাব ডিজি বলেন, ‘যারা এখনো আত্মসমর্পণ করেননি তাদের বলছি দস্যুপনা সম্মানজনক কাজ নয়। কারণ একজন দস্যুর সন্তান স্কুলে গিয়ে বলতে পারে না তার বাবা কী করে। আমার বাবা অমুক ডাকাত সর্দার। সেই বাচ্চা লজ্জিত হয়। এই লজ্জা নয়, আমরা চাই দস্যুরা সম্মানের সঙ্গে, গর্বের সঙ্গে ব্যবসা করবে মাথা উঁচু করে বাঁচবে। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা দস্যুপনা থেকে সরে আসেন। আমরা চেষ্টা করছি আর্থিকভাবে সহায়তা করা ও মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিতে।’
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন আরও বলেন, আমরা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করেছি, সাগরও নিয়ন্ত্রণে আছে। সাগরের দস্যুপনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনবো। এটা নিয়ে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে আপনাদের সঙ্গে আছি। পাশে দাঁড়িয়েছি। আপনারা নিশ্চিন্তে মৎস্য আহরণ করুন, আমরা আগামী দিনেও আপনাদের পাশে থাকবো।