,
প্রচ্ছদ | জাতীয় | আন্তর্জাতিক | অর্থনীতি | আমেরিকা | লাইফ স্টাইল | ভিডিও নিউজ | ফিচার | আমেরিকা | বিনোদন | রাজনীতি | খেলাধুলা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | শিক্ষা

৩ লক্ষণে বুঝে নিন, যোগাযোগ স্থাপনে দুর্বল আপনি

এবিএনএ : মানুষের সঙ্গে চটজলদি যোগাযোগ স্থাপন করা এক অনন্য গুণ। এর অভাবে ক্যারিয়ারে অনেক পিছিয়ে পড়বেন আপনি।

এর অভাবে যেমন আদর্শ সহকর্মী হয়ে ওঠতে পারবেন না, তেমনি বসকেও বোঝাতে পারবেন না যে, আপনি ভবিষ্যত নেতা। যোগাযোগ ছাড়া আপনি বোঝাতে পারবেন যে, পরবর্তিতে প্রমোশন পাওয়ার যোগ্যতা একমাত্র আপনারই রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এখানে জানিয়েছেন ৩ ধরনের বৈশিষ্ট্যের কথা। যদি এদের একটি বা সবগুলো আপনার মাঝে উপস্থিত থাকে, তো বদলে যাওয়ার সময় হয়েছে।

১. এক পদ্ধতিতেই যোগাযোগ করেন আপনি: এক ঘণ্টার মধ্য আপনি সব ই-মেইলের জবাব দেন। কোন ই-মেইলে ইমোজি দিতে হবে এবং কোনটিতে দিতে হবে না- সে বিষয়টি ভালোই বোঝেন। প্রচুর ই-মেইলে আসলে সবগুলোর জবাব আপনি দেন না। এতে বোঝা যায় ইনবক্স সামলে নিতে আপনি দক্ষ। কিন্তু একমাত্র ই-মেইল আপনাকে যোগাযোগে দক্ষ করে তুলতে পারে না। আপনি যেকোনো প্রয়োজন বা তাগাদা ই-মেইলের মাধ্যমে বোঝাতে সক্ষম হবেন না। আপনার চিন্তাধারা বোঝাতে বা কোনো কাজে বসকে রাজি করাতে ই-মেইল উত্তম মাধ্যম নয়। সরাসরি কথা বলা বা আলোচনার মাধ্যমে সুষ্ঠু আন্তযোগাযোগ সৃষ্টি হয়। কিন্তু যদি আপনি কেবল ই-মেইলের মাধ্যমেই যেকোনো সমস্যার সমাধানে সিদ্ধহস্ত থাকেন, তবে যোগাযোগের শিল্পে আপনি অনেক পিছিয়ে রয়েছেন। তাই একাধিক উপায়ে যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে মানুষের সঙ্গে।

২. স্পষ্ট বুঝে আবারো জিজ্ঞাসা করেন সহকর্মী: ধরুন, কোনো বিষয়ে সহকর্মী কিছু একটা জিজ্ঞাসা করলেন। অথচ এ বিষয় নিয়ে একটু আগেও কথা বলেছেন আপনি। কিন্তু সহকর্মী বললেন, আসলে নিশ্চিত হয়ে নিলাম যে এই কাজটিই করতে হবে কিনা আমাকে। এ ধরনের পরিস্থিতির অর্থ, আপনি যা বলতে চান তা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে বলতে পারেন। এটা যোগাযোগে আপনার দুর্বলতার লক্ষণ। কোনো প্রজেক্ট বা কাজ বুঝিয়ে দিতে আপনি অস্পষ্টতা রেখে দেন। আপনি যা বলছেন তা পুরোপুরি বোধগম্য নয়। কিংবা কোনো না কোনো ফাঁক রয়েই গেছে আপনার কথায়। যদি শ্রোতাকে দোষারোপ করেন, তো ভুল করবেন। হ্যাঁ, শ্রোতারও বুঝে নেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্বলতা থাকতে পারে। কিন্তু তার ভুল ধরার  আগে নিজের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনি ঠিক আছেন। কোনো বিষয় বোঝানোর আগে তার মূল প্রতিপাদ্য নিজের মনে পরিষ্কার করে নিন। নিজে পুরোপুরি না বুঝে অন্যকে বোঝাতে যাবেন না। প্রতিটা শব্দ এবং অংশ সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিন। তারপর এগুলো ব্যাখ্যা করুন।

৩. মিটিংয়ে পেছনের সিট বেছে নেন: হতে পারে অনেক কারণেই আপনি মিটিংয়ের সময় সবার পেছনে বসেন। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই যখন পেছনের সিট বেছে নেন, তখন বুঝতে হবে আপনি সবার সঙ্গে যোগাযোগে অভ্যস্ত নন। কিংবা সবার কাছে এটাই স্বাভাবিক যে, আপনার সামনে থাকার দরকার নেই। আর যখনই আপনি পেছনের সিটে নিজের স্থান করে নিয়েছেন, তখন সহকর্মী এবং বসদের সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ মিস করলেন। হয়তো ব্যক্তিগতভাবে আপনার মাথায় অনেক ভালো ভালো আইডিয়া রয়েছে। কিন্তু সবার সঙ্গে তা শেয়ার করতে না পারলে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সভায় কোনো বিষয়ে মাথায় ঝড় তোলা মুহূর্তে আপনি সামলি না হতে পারলে কর্মী হিসাবে আপনার গুরুত্ব স্পষ্ট করা সম্ভব নয়। যোগাযোগ স্থাপনের অর্থ এই নয় যে, প্রতিটা মিটিংয়ে সবার সামনে থেকে বিশদ বক্তব্য রাখতে হবে। কিন্তু একেবারে পিছে চুপচাপ বসে থাকার কোনো অর্থ নেই।

আসলে কোনো মানুষই যোগাযোগে নিখুঁত নয়। আবার কেউ-ই আপনাকে তেমন বলে আশাও করতে পারেন না। কিছু বৈশিষ্ট্য নিজের মাঝে প্রবেশ করানোর মাধ্যমে এ কাজে অন্যদের চেয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন আপনি। তাই কর্মক্ষেত্রে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের চর্চা করুন। সামনে এগিয়ে যান এবং সফলতার সিঁড়ির সন্ধান মিলবে। সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali
Managing Director: Akbar Hossain
Executive Editor: Mehedi Hasan
E-mail : abnanewsusa@gmail.com
Usa Office: 289 West Koach Avenue, Egg harbor City, New Jersey-08215, Bangladesh Office : 60/1. Purana Paltan (2nd Floor), Dhaka-1000, Usa. Phone: +16094649559, Cell:+8801711040113, +8801912-621573
Server mannarged BY PopularServer
Design & Developed BY PopularITLimited