এবিএনএ : কর্মব্যস্ত জীবনে নিজেদের দিকে নজর দেওয়ার একেবারেই সময় নেই। দিনে ১২ ঘণ্টাও কাজ করতে হয়। তাতেই ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। ফলে প্রভাব পড়ছে ব্যক্তিগত জীবন এবং কেরিয়ারেও। তাহলে জেনে নিন এই উপায়গুলো, যাতে দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করলেও সুস্থ থাকা যায়। কিছু বিষয় অনুসরণ করলে কোনো প্রভাব পড়বে না ব্যক্তিগত জীবন কিংবা কেরিয়ারে।
১) সারাদিনের রুটিনে কিছুটা সময় রাখুন হাঁটার জন্য। শরীর চর্চা করার জন্য হাতে কোনো সময় নেই বলে কোনো অজুহাত দেবেন না। যখন ফোনে কথা বলছেন, তখন হাঁটুন। গাড়ি কিছুটা দূরে পার্ক করুন। আর সেখান থেকে অফিস পর্যন্ত হেঁটে আসুন। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। এক স্টপেজ আগে বাস থেকে নেমে যান। আর সেখান থেকে অফিস কিংবা বাড়ি পর্যন্ত হেঁটে আসুন।
২) শরীরের কিছুটা সূর্যের আলো পড়তে দিন। সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি থাকে। যার থেকে আমরা প্রচুর পরিমাণে এনার্জি পাই। তাই সময় পেলেই শরীরের খোলা অংশে সূর্যের আলো পড়তে দিন। সারাদিন সতেজ থাকবেন।
৩) প্রতিদিন একটা করে আপেল খান। যদি রোজ আপেল না খেতে পারেন, তাহলে প্রত্যেকদিন একটি করে যেকোনো মৌসুমী ফল খান।
৪) ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জানার পরেও আমরা ধূমপান করি। এবার সেই নেশাটিকে দূর করুন। যদি মনে করেন, আজ নয় কাল ছাড়বেন, তাহলে আর কোনোদিনই ছাড়তে পারবেন না। আজই ধূমপান করা ত্যাগ করুন।
৫) প্রচুর পরিমাণে পানি খান। পানি আমাদের শরীরকে ডিহাইড্রেট হওয়া থেকে বাঁচায়। ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্য পানি খুবই উপকারী। তাই ত্বক এবং চুলের জন্য দামী দামী প্রসাধনী দ্রব্য ব্যবহার না করে পানি খান এবং বেশি পানিতে গোসল করুন।
৬) শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রচুর কাজ করার পরেও দিনে ৭ ঘণ্টা ঘুম খুবই প্রয়োজন।