এ বি এন এ : সিরিয়ার সরকারি বাহিনী শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মত দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি বাহিনীর ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট রণাঙ্গনে কর্মরত তাদের সামরিক উপদেষ্টাদের রক্ষায় বিমান পাঠায় ।
বাশার আল-আসাদ সরকারের যুদ্ধবিমান হাসাকেহ নগরীতে কুর্দি বাহিনী লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালাচ্ছে। কুর্দি বাহিনী গত কয়েক মাস ধরে আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত স্থানীয় যোদ্ধাদের সহায়তাকারী মার্কিন জোটের সামরিক উপদেষ্টাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। বৃহস্পতিবার সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর বিমান হামলা বন্ধে ও জোটের উপদেষ্টাদের রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্র জঙ্গি বিমান পাঠায়। তবে মার্কিন বিমান আসার পর সিরীয় বিমান ওই এলাকা ছেড়ে যায়। এই প্রথমবারের মত সিরীয় বাহিনীর পদক্ষেপের জবাবে জোট জঙ্গি বিমান পাঠালো।
পেন্টাগন মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস বলেন, জোটের উপদেষ্টাদের রক্ষার জন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হয়। তিনি বলেন, আমরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো এবং তারা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে এমন কর্মকাণ্ড না করতে সিরীয় সরকারকে পরামর্শ দেব। যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, সিরিয়া সরকারের দুই যুদ্ধবিমান শুক্রবার ফের ওই এলাকায় ওড়ার চেষ্টা করে। তবে তাদেরকে জোটের বিমানের মুখোমুখি হতে হয়।
তিনি বলেন, জোটের বিমানের উপস্থিতির কারণে কোন ধরণের ঘটনা ছাড়াই সিরীয় বিমান ওই এলাকা ত্যাগ করে। এ সময় জোটের যুদ্ধ বিমান থেকে কোন গুলি ছোড়া হয়নি। হাসেকাহ নগরীর বেশিরভাগ কুর্দি বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করে। বাকি অংশ প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত যোদ্ধাদের দখলে রয়েছে।
ডেভিস বলেন, বৃহস্পতিবার সিরিয়ার বিমান হামলায় জোটের কেউ আহত হয়নি এবং যুক্তরাষ্ট্রের উপদেষ্টারা নিরাপদ স্থানে চলে যান। সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, কুর্দি বাহিনী হাসেকাহ ঘিরে রেখেছে এবং গোলার আঘাতে বেসামরিক ও সামরিক প্রাণহানি হচ্ছে। আর এসব অপরাধের জন্য দায়ীদের অবস্থান ও গুলির উৎস লক্ষ্য করে সিরীয় বাহিনী সঠিক জবাব দিয়েছে।