এ বি এন এ : টানাপোড়েন আর মান-অভিমানের মধ্য দিয়েই এগিয়ে চলে যুগল সম্পর্ক। তবে সেই সম্পর্কটা সঠিক পথে এগোচ্ছে কি না তা নিয়ে অনেকেই ভোগেন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে। অনেকেই এ ব্যাপারে ছুটেন মনোবিদদের কাছে। সম্পর্ক পাকাপোক্ত করতে তাদের পরামর্শ নেন। তবে এর আগে ঘরে বসে নিজেকে কয়েকটা প্রশ্ন করেই বুঝে নিতে পারেন সম্পর্ক কোন দিকে এগোচ্ছে।
# গত ছয় মাসে কতগুলো নতুন কাজ একসঙ্গে করেছেন? সিনেমা দেখা কিংবা রেস্তোরাঁয় খেতে তো অনেকেই যান। একসঙ্গে মাছ ধরতে যাওয়া কিংবা ট্রেকিংয়ে যাওয়ার মতো একটু অন্যরকমভাবে সময় কাটিয়েছেন কি? উত্তর যদি না হয়, তাহলে বুঝতে হবে, সম্পর্কে একঘেঁয়েমি আসছে। কারণ, যেকোনো সম্পর্কই নতুন কাজের স্বাদ পেলে উপভোগ্য হয়ে ওঠে।
# নিজেকে প্রশ্ন করুন, যদি কোনো তৃতীয় কারও সঙ্গে যৌনতার সুযোগ পান এবং সেই যৌনতায় যদি ধরা পড়ার সম্ভাবনা না থাকে, সেটা সুযোগ কাজে লাগাবেন কি? উত্তর যদি এক মুহূর্তের জন্যও হ্যাঁ হয়, ধরে নিন আপনার সম্পর্ক এক গভীর সমস্যার সামনে দাঁড়িয়ে।
# সঙ্গীকে ভালোবাসেন, সেটা ভালো কথা। কিন্তু সঙ্গীর প্রতি আপনার শ্রদ্ধা আছে তো? শ্রদ্ধা ছাড়া কোনো সম্পর্কই কিন্তু টেকে না।
# নিজেদের মধ্যে যৌনতা কতটা উপভোগ করেন? বিছানায় একঘেঁয়েমি এলেও, সেটা কাটানোর জন্য নানা রকমের টিপ্স দেন যৌনতাবিশারদরা। সেগুলো কাজে লাগান কি? উত্তর হ্যাঁ হলে বুঝে নিন, আপনার সঙ্গীকে আপনি সত্যিই ভালোবাসেন।
# যখন একসঙ্গে থাকেন না, তখন কি সবসময় সঙ্গীর কথাই ভাবতে থাকেন? সাবধান! কারণ এই অভ্যাস থেকেই আসে মাত্রাতিরিক্ত অধিকারবোধ। যা যেকোনো সম্পর্ককে নষ্ট করে দিতে বাধ্য।
# ঝগড়া করেন? করতেই পারেন। কারণ ঝগড়া প্রেমের অঙ্গ। তবে তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো, ঝগড়ার পরে কত তাড়াতাড়ি মিটমাট করে নেন।
# সম্পর্ককে কতটা গুরুত্ব দেন? পেশাগত জীবনের চেয়েও কি এগিয়ে রাখেন সম্পর্ককে? যদি দেন তাহলে জানবেন, আপনারা একে অপরের ‘সোলমেট’।
# জনসমক্ষে কোনো ঝামেলা হলে কি প্রকাশ্যেই সঙ্গীর পাশে দাঁড়ান? জেনে রাখুন, এই অভ্যাস আপনাদের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।
# প্রিয় সঙ্গীর কোনো আলাদা নাম রেখেছেন তো? জানবেন, ওই নামে তাঁকে যতবার ডাকবেন, ততবারই তাঁর মধ্যে ভালো লাগার মাত্রা আরও বাড়বে।