এ বি এন এ : সংলাপের মাধ্যমে সব দ্বিপাক্ষিক বিষয় সমাধানের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি’র মধ্যকার জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ ব্যাপারে সম্মত হয় দুই দেশ।
সোমবার জাতিসংঘের ৭১তম সাধারণ পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে আসা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের নেতা সূচির সঙ্গে এ বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য সচিব ইহসানুল করিম জানান, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দুই নেতা প্রতিবেশী দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন এবং সংলাপের মাধ্যমে তা সমাধানের ব্যাপারে সম্মত হন।
বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কফি আনান কমিশনকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে কখনও কোন দেশের সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে বরদাশত করা হবে না।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও চরমপন্থী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কার্যকর সহযোগিতার ব্যাপারে বাংলাদেশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের নেতাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং সুচি এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
কানাডা সফর শেষে রোববার যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনের সাধারণ আলোচনায় তিনি বক্তব্য দেবেন।
নিউইয়র্কে প্রথম কর্মসূচিতে সোমবার প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সদর দফতরে উদ্বাস্তু ও অভিবাসনের ওপর সাধারণ পরিষদের প্ল্যানারি বৈঠকে ভাষণ দেন। পরে সু চির সঙ্গে বৈঠক হয় তার।