এবিএনএ : আওয়ামী লীগের সাংসদরা সবসময় পার্লামেন্ট প্র্যাকটিসে আন্তরিক বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ তিনে বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাংসদরা সবসময় পার্লামেন্ট প্র্যাকটিসে আন্তরিক ছিলাম। আমরা নিয়মিত হাউজে উপস্থিত থাকতাম। আর বিএনপির যারা সদস্য…জামায়াত ও বিএনপি মিলে সরকার গঠন করেছিলো, তারা সংসদে খুব একটা উপস্থিত থাকতো না।
১৯৯৪ সালে সংসদে কোস্ট গার্ড বিল উত্থাপনের বিষয়টি তুলে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তখন বিরোধীদলে ছিলাম। এত বেশি সংসদ সদস্য ছিলো না। আমরা জানতাম সরকারপক্ষ কখনোই এই বিল পাস করবে না। বিলটি (কোস্ট গার্ড বিল) যখন নিয়ে এলাম, তখন কণ্ঠভোট আসে। আমরা নিজেরা গুণে দেখি যে, আমরা সংখ্যায় বেশি। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এক সংসদ সদস্য ডিভিশন ভোটের দাবি করেন। এই ভোটে বিরোধী দল জয়লাভ করে। তখনই এই আইনটি পাস হয়। এটা একটি ঐতিহাসিক ব্যাপার।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সততার সঙ্গে কাজ করতে কোস্টগার্ড সদস্যদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর। আগারগাঁওয়ে কোস্ট গার্ডের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। ১৯৯৪ সালে কোস্ট গার্ড বিল পাস হওয়াকে একটি ঐতিহাসিক ব্যাপার বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এ বাহিনীর যাত্রা শুরু করে।
গত ১৩ বছরে কোস্টগার্ডের জন্য ৭৭টি জলযান নির্মাণ ও সংযোজন করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরও জাহাজ নির্মাণ করা হবে। ভবিষ্যতে এই বাহিনীকে আরও আধুনিক যুগপোযোগী করা হবে। এই বাহিনীর সার্বিক কল্যাণে যা যা করার দরকার তা করবে সরকার। এই বাহিনীর সার্বিক কল্যাণে যা যা করার দরকার তা করবে সরকার সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পরে ধারাবাহিকভাবে কোস্ট গার্ডের জনবল বাড়িয়েছি। সুনীল অর্থনীতি ও গভীর সমুদ্রের নিরাপত্তার জন্য এই বাহিনীর জনবল ও জাহাজ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
গভীর সমুদ্র নির্ভর অর্থনীতিকে গতিশীল ও নিরাপদ রাখা এবং সুনীল অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প ও ব্যক্তিদের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে এই বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
উপকূলীয় অঞ্চলে নিয়মিত বৃক্ষরোপণ করায় কোস্টগার্ডকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এটা আমাদের দেশকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা ও পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের সমুদ্রসীমা রক্ষা এবং নদীমাতৃক দেশকেও নিরাপদ করার জন্য আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একান্তভাবে দরকার। সেই দায়িত্ব কোস্টগার্ড যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছে। কারণ আমাদের এই অঞ্চল (বঙ্গোপসাগর) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলের সব নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রয়োজন এবং সেইদিকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। সেটা আমরা যথাযথভাবে করে যাচ্ছি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা পরবর্তী মাত্র সাড়ে তিন বছরে শূন্য বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে রূপান্তর করেছিলেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর্থসমাজিক উন্নয়নের জন্য যখন জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। সেই সময় ঘটে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড। আমরা হারিয়েছিলাম আমাদের আপজন। কিন্তু বাংলাদেশ হারিয়েছিলো উন্নত জীবনযাপনের সবধরণের অধিকার। বাঙালি জাতি আবার শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হয়। ইতিহাস বিকৃতি হয়।